নোয়াখালী ০৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের অভিযোগে এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

পঞ্চগড় সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় ০২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১৫১৮ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড়ে ধর্ষণের অভিযোগে কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এই পরোয়ানা জারি করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের এক নারী ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। সেই ডায়রির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামায় বিয়ে করে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক সময় বিয়ের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।

পরে ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রোববার (২৩ জানুয়ারি) আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং ওই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মেহেদি হাসান মিলন জানান, ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্কের পর এসআই জলিল সুকৌশলে কুড়িগ্রামে বদলি হন। পরে আর বাদীর খোঁজ রাখেন না। এরপরই ওই নারী আদালতে মামলা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজার রহমান আজু জানান, ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা দাখিলের পর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেটকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এরপর প্রাপ্ত অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধর্ষণের অভিযোগে এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আপডেট সময় ০২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

পঞ্চগড়ে ধর্ষণের অভিযোগে কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এই পরোয়ানা জারি করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের এক নারী ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। সেই ডায়রির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামায় বিয়ে করে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক সময় বিয়ের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।

পরে ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রোববার (২৩ জানুয়ারি) আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং ওই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মেহেদি হাসান মিলন জানান, ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্কের পর এসআই জলিল সুকৌশলে কুড়িগ্রামে বদলি হন। পরে আর বাদীর খোঁজ রাখেন না। এরপরই ওই নারী আদালতে মামলা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজার রহমান আজু জানান, ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা দাখিলের পর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেটকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এরপর প্রাপ্ত অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।