নোয়াখালী-৫
মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতার আন্দোলনে ‘জামায়াতের উস্কানির’ অভিযোগ
- আপডেট সময় ০৮:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
- / ১২৬২ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট ও সদরের আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের প্রার্থী পরিবর্তন আন্দোলনে ‘জামায়াতের উস্কানির’ অভিযোগ উঠেছে।
বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক। তিনি নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। এখানে জেলা বিএনপি নেতা মো. ফখরুল ইসলামকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এরপর থেকে বিএনপি নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ তার সমর্থকদের দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ধানের শীষের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি তুলে আন্দোলন করছেন। এতে ভোটের রাজনীতিতে সুবিধা পেতে স্থানীয় জামায়াতের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির প্রার্থী মো. ফখরুল ইসলামের ক্লিন ইমেজ ও বিএনপির জনপ্রিয়তায় এলাকায় ধানের শীষের গণজোয়ার উঠেছে। এক্ষেত্রে ধানের শীষের প্রার্থী পরিবর্তন হলে সুবিধা পাবে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মো. বেলায়েত হোসেন।
১৯৯৬ সালের সকল রাজনৈতিক দলের আলাদা ভোটে এ আসনে ৪০ হাজার ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের এমপি নির্বাচিত হন। ওই ভোটে জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ২৮ হাজার, বিএনপির কর্নেল (অবঃ) এনামুল হক ২৩ হাজার, জামায়াতের আবু নাসের মো. আবদুজ্জাহের ১৭ হাজার ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছিলেন। বর্তমানে এ আসনের ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৯১ হাজার।
বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল বাশার বাহার বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান সবদিক বিবেচনা করে চমৎকার একজন ব্যক্তিকে ধানের শীষের মনোনয়ন দিয়েছেন। এখানে কয়েক লাখ ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষের প্রার্থী ফখরুল ইসলাম জয়লাভ করবেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আনিছুল হক বলেন, এ আসনে ধানের শীষের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত। নির্বাচনে জামায়াত সুবিধা পেতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। তবে ধানের শীষের প্রার্থী পরিবর্তন হলে এ আসন জামায়াতের হাতে চলে যেতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কবিরহাটের এক বিএনপি নেতা বলেন, ‘ভোটের মাঠে জামায়াতের প্রার্থী সুবিধা পেতে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতার আন্দোলনে ঘি ঢালছেন। কারণ বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে স্থানীয় জামায়াতের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে।’
কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন বলেন, দলের প্রার্থী ঘোষণার পর জেলা বিএনপির নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলাসহ সদরের দুই ইউনিয়নে ধানের শীষের প্রার্থী মো. ফখরুল ইসলামকে নিয়ে পুরোদমে মাঠে নেমেছে বিএনপি। দলের বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিলে তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হবেন বলে মনে করি।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এবং নোয়াখালী-৫ আসনের জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেনকে বারবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
তবে বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমির ও দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য মাওলানা মোশাররফ হোসাইন বলেন, বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাকে উস্কানি দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আমরা আমাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় মাঠে আছি। জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি নির্বাচিত হবেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, নোয়াখালী-৫ আসনে আমরা জনসভা করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি আমাদের দলের প্রার্থী মো. ফখরুল ইসলাম। এর বাইরে কেউ কোনো কর্মসূচি দিলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।














