চাঁদা দাবির অভিযোগ
হাতিয়ায় যুবলীগ কর্মীর মা-ভাইসহ ৫ জনকে পিটিয়ে জখম
- আপডেট সময় ০৮:৫৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
- / ১২৬৯ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ছেলে যুবলীগ করার অপরাধে মা-ভাইসহ পরিবারের পাঁচজনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে চানন্দি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দরবেশ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী আবুল হাসেম মাঝির মা হাবিজা খাতুন (৭০), ছোটভাই জুয়েল (৪০), রাসেল (৩৫), তাজুল ইসলাম (২৫) ও জুয়েলের স্ত্রী পলি (৩০)। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আবুল হাসেম মাঝি বলেন, আমি ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহের কাজ করি। বিগত ১৫-১৬ বছর আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় ব্যবসা ঠিক রাখতে তাদের সভা-সমাবেশে যাইতাম। গত ৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা আমার থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে। অন্যথায় ব্যবসা গুটিয়ে এলাকা থেকে বাহিরে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় ভুইয়ারহাটে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিএনপি কর্মী হান্নানের সঙ্গে আমার আত্মীয়দের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ইউনিয়ন বিএনপির (পূর্ব) সভাপতি মাহবুবুর রহমান ও ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সরোয়ারের নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী বাড়িতে হামলা করে আমার ছোটভাই রাসেলকে দরবেশ বাজার বিএনপি অফিসে নিয়ে বেদম মারধর করে।
আহত হাবিজা খাতুন বলেন, আমার ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার ছেলে জুয়েল, তাজুল ইসলাম ও ছেলের বউ পলিকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে এ ঘটনায় মামলা না করা ও বিএনপি কর্মী হান্নানের সঙ্গে ঘটনার বিচারে উপস্থিত থাকার শর্তে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর চানন্দি ইউনিয়নে চাঁদাবাজি, দখল, হামলা, লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে অনেকে আগে যুবলীগ-ছাত্রলীগ করলেও এখন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।
জানতে চাইলে চানন্দী ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ব শাখার সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। শুনেছি হাসেম মাঝির লোকজনের সঙ্গে বিএনপি কর্মী হান্নানের হাতাহাতি হয়েছে। তবে হাসেমের পরিবারের লোকজনকে পেটানোর বিষয়টি আমার জানা নেই।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সরোয়ার মাঝি বলেন, আমি সালিশ বসানোর জন্য হাসেম মাঝির লোকজন থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছি। চাইলে এটি আমি দিয়ে দিব। তবে চাঁদাদাবি বা মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক খোকন বলেন, বিএনপির কোথাও কোনো অফিস নাই। আর সেখানে চাঁদাবাজি বা মারধর করার প্রশ্নই আসে না। এ ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।