নোয়াখালী ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামায়াত নেতা মাসুম

জুলুম-নির্যাতনে শেখ হাসিনা পাঞ্জাবিদেরও হার মানিয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৮:২৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১২৭৮ বার পড়া হয়েছে

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার ১৫ বছর দেশের জনগণের ওপর যে জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে, তা পাঞ্জাবিদের ঘৃণিত কাজকেও হার মানিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে এখন জনগণের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনে জামায়াতের ইসলামীর কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) নোয়াখালীর একটি কনভেনশন সেন্টারে জেলা জামায়াত আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা এটিএম মাসুম এসব কথা বলেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত উল্লেখ করে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘ভারতের ইশারায় দেশের যোগ্য সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, হাজার হাজার গুম-খুনসহ আয়নাঘর সৃষ্টির জন্য শেখ হাসিনার বিচার হওয়া উচিত।’

এটিএম মাসুম বলেন, ‘দেশের ব্যাংকখাতকে ধ্বংস করে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। স্বৈরাচার এস আলমকে দিয়ে ইসলামী ব্যাংকে লুটপাট চালিয়েছে। পাচার করা এসব টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।’

শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে জামায়াত নেতা মাসুম বলেন, “হিন্দুত্ববাদী শেখ হাসিনা ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে বেশিরভাগ অমুসলিম লেখকদের লেখা পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত করে আমাদের সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন। কওমিসহ সব মাদরাসার প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইকরা’, উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট থেকে ‘রাব্বি জিদনি ইলমা’ বাতিল করেছে। হিন্দু, সেকুলার ও নাস্তিকদের লেখা বই দিয়ে ইসলামি শিক্ষানীতি ধ্বংস করেছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে গুম, খুন, হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। পুলিশ বাহিনীকে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত করে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সীমান্ত হত্যার কোনো বিচার করেননি বরং ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন।’

সম্মেলনে নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কুমিল্লা মহানগরীর আমির কাজী দীন মোহাম্মদ। দারসে কুরআন পেশ করেন কুমিল্লা অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভুইয়া। সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জামায়াত নেতা মাসুম

জুলুম-নির্যাতনে শেখ হাসিনা পাঞ্জাবিদেরও হার মানিয়েছিল

আপডেট সময় ০৮:২৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার ১৫ বছর দেশের জনগণের ওপর যে জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে, তা পাঞ্জাবিদের ঘৃণিত কাজকেও হার মানিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে এখন জনগণের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনে জামায়াতের ইসলামীর কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) নোয়াখালীর একটি কনভেনশন সেন্টারে জেলা জামায়াত আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা এটিএম মাসুম এসব কথা বলেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত উল্লেখ করে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘ভারতের ইশারায় দেশের যোগ্য সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, হাজার হাজার গুম-খুনসহ আয়নাঘর সৃষ্টির জন্য শেখ হাসিনার বিচার হওয়া উচিত।’

এটিএম মাসুম বলেন, ‘দেশের ব্যাংকখাতকে ধ্বংস করে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। স্বৈরাচার এস আলমকে দিয়ে ইসলামী ব্যাংকে লুটপাট চালিয়েছে। পাচার করা এসব টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।’

শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে জামায়াত নেতা মাসুম বলেন, “হিন্দুত্ববাদী শেখ হাসিনা ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে বেশিরভাগ অমুসলিম লেখকদের লেখা পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত করে আমাদের সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন। কওমিসহ সব মাদরাসার প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইকরা’, উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট থেকে ‘রাব্বি জিদনি ইলমা’ বাতিল করেছে। হিন্দু, সেকুলার ও নাস্তিকদের লেখা বই দিয়ে ইসলামি শিক্ষানীতি ধ্বংস করেছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে গুম, খুন, হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। পুলিশ বাহিনীকে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত করে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সীমান্ত হত্যার কোনো বিচার করেননি বরং ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন।’

সম্মেলনে নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কুমিল্লা মহানগরীর আমির কাজী দীন মোহাম্মদ। দারসে কুরআন পেশ করেন কুমিল্লা অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভুইয়া। সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন।