নোয়াখালী ১২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যারম খেলতে বাধা দেওয়ায় ১৬ লাখ টাকার চারাগাছ নষ্ট

ডিজিটাল নোয়াখালী ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:৪০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / ১২৮৪ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী সদরে দোকানে ক্যারম খেলতে বাধা দেওয়ায় মফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির ৬০ শতাংশ জমিতে গড়ে তোলা নার্সারির ৭৫ হাজার চারা গাছ বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর।

শুক্রবার (৩১ মে) দিনগত রাতে ধর্মপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মফিজুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৬) সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।

রোববার (২ জুন) কথা হয় মফিজুর রহমানের ছেলে আবদুর রহিম বাদশার (৩৩) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা মফিজুর রহমানের স্থানীয় মহিউদ্দিন মিয়ার সমাজ জামে মসজিদের সভাপতি। শুক্রবার (৩১ মে) পাড়ার দোকানে ক্যারম খেলতে দেখে তিনি এটা বন্ধের নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুর রাজ্জাক সফি মেস্তুরির ছেলে আবদুল হামিদ, তার সহযোগী মহিউদ্দিন ও সুমন গালমন্দ ও হুমকি দেন। পরে রাতে কীটনাশক দিয়ে আমাদের মায়া নার্সারির ৭৫ হাজার গাছ পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

মফিজুর রহমানের আরেক ছেলে হারুনুর রশিদ (২৭) বলেন, “আমরা তিন ভাই অনেক সাধনা করে ‘মায়া নার্সারি’ নামে এটি গড়ে তুলেছি। দুর্বৃত্তরা আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। নার্সারিতে আকাশী, বেলজিয়াম, ইউক্যালিপটাস, কড়াই ও লম্বু জাতের ৭৫ হাজার চারা ছিল। কেমিক্যালে সব জ্বলে-পুড়ে গেছে। আমরা এর বিচার চাই। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় জড়িত নই। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে। গাছ জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আমরাও বিচার চাই।’

পার্শ্ববর্তী ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। এতগুলো গাছ একসঙ্গে জ্বালিয়ে দেওয়া চরম অন্যায় হয়েছে। প্রশাসনের উচিত প্রকৃত দোষীদের বের করে শাস্তির আওতায় আনা।’

স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাহার বলেন, ‘সামান্য বিষয় নিয়ে এতগুলো চারাগাছ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’

এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্যারম খেলতে বাধা দেওয়ায় ১৬ লাখ টাকার চারাগাছ নষ্ট

আপডেট সময় ০৮:৪০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

নোয়াখালী সদরে দোকানে ক্যারম খেলতে বাধা দেওয়ায় মফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির ৬০ শতাংশ জমিতে গড়ে তোলা নার্সারির ৭৫ হাজার চারা গাছ বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর।

শুক্রবার (৩১ মে) দিনগত রাতে ধর্মপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মফিজুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৬) সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।

রোববার (২ জুন) কথা হয় মফিজুর রহমানের ছেলে আবদুর রহিম বাদশার (৩৩) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা মফিজুর রহমানের স্থানীয় মহিউদ্দিন মিয়ার সমাজ জামে মসজিদের সভাপতি। শুক্রবার (৩১ মে) পাড়ার দোকানে ক্যারম খেলতে দেখে তিনি এটা বন্ধের নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুর রাজ্জাক সফি মেস্তুরির ছেলে আবদুল হামিদ, তার সহযোগী মহিউদ্দিন ও সুমন গালমন্দ ও হুমকি দেন। পরে রাতে কীটনাশক দিয়ে আমাদের মায়া নার্সারির ৭৫ হাজার গাছ পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

মফিজুর রহমানের আরেক ছেলে হারুনুর রশিদ (২৭) বলেন, “আমরা তিন ভাই অনেক সাধনা করে ‘মায়া নার্সারি’ নামে এটি গড়ে তুলেছি। দুর্বৃত্তরা আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। নার্সারিতে আকাশী, বেলজিয়াম, ইউক্যালিপটাস, কড়াই ও লম্বু জাতের ৭৫ হাজার চারা ছিল। কেমিক্যালে সব জ্বলে-পুড়ে গেছে। আমরা এর বিচার চাই। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় জড়িত নই। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে। গাছ জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আমরাও বিচার চাই।’

পার্শ্ববর্তী ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। এতগুলো গাছ একসঙ্গে জ্বালিয়ে দেওয়া চরম অন্যায় হয়েছে। প্রশাসনের উচিত প্রকৃত দোষীদের বের করে শাস্তির আওতায় আনা।’

স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাহার বলেন, ‘সামান্য বিষয় নিয়ে এতগুলো চারাগাছ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’

এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।