নোয়াখালী ১০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনবাগে স্বতন্ত্রদের ওপর নৌকার সমর্থকদের হামলা, পুলিশসহ আহত ৫

সেনবাগ সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় ১১:০৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৩৫০ বার পড়া হয়েছে

সেনবাগ বাজারে পুলিশের অবস্থান।

নোয়াখালীর সেনবাগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে সেনবাগ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

পুলিশের আহত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. কাওছারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রাত ৮টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের লোকজন সেনবাগ বাজারে গেলে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের লোকজন জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন জড়ো হয়ে ধাওয়া করলে হামলাকারীরা পিছু হটে যায়। এসময় ককটেল বিস্ফোরণে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে এএসআই কাওছারের মাথা ফেটে যায়। পরে পুলিশের লাঠিচার্জে এমপি সমর্থিত দুই ছাত্রলীগ কর্মীসহ চারজন আহত হন।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক বলেন, সেনবাগে সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল আমি নৌকার মনোনয়ন পাবো। কিন্তু দল আমাকে নৌকা দেয়নি। তবে তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে নৌকা পাওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম পুলিশের সহযোগিতায় আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি শুরু করেছে। পুলিশ একপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এসব বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে মোরশেদ আলমের স্থানীয় প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এমপির লোকজনের অস্ত্র নিয়ে হামলার বিষয়টি সত্য নয়। উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার পর ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়। এতে পুলিশ ও কয়েকজন কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ অবস্থান করে। তাদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে এএসআই কাওছার আহত হয়েছেন। তবে অস্ত্র নিয়ে হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেনবাগে স্বতন্ত্রদের ওপর নৌকার সমর্থকদের হামলা, পুলিশসহ আহত ৫

আপডেট সময় ১১:০৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

নোয়াখালীর সেনবাগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে সেনবাগ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

পুলিশের আহত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. কাওছারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রাত ৮টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের লোকজন সেনবাগ বাজারে গেলে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের লোকজন জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন জড়ো হয়ে ধাওয়া করলে হামলাকারীরা পিছু হটে যায়। এসময় ককটেল বিস্ফোরণে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে এএসআই কাওছারের মাথা ফেটে যায়। পরে পুলিশের লাঠিচার্জে এমপি সমর্থিত দুই ছাত্রলীগ কর্মীসহ চারজন আহত হন।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক বলেন, সেনবাগে সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল আমি নৌকার মনোনয়ন পাবো। কিন্তু দল আমাকে নৌকা দেয়নি। তবে তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে নৌকা পাওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম পুলিশের সহযোগিতায় আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি শুরু করেছে। পুলিশ একপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এসব বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে মোরশেদ আলমের স্থানীয় প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এমপির লোকজনের অস্ত্র নিয়ে হামলার বিষয়টি সত্য নয়। উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার পর ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়। এতে পুলিশ ও কয়েকজন কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ অবস্থান করে। তাদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে এএসআই কাওছার আহত হয়েছেন। তবে অস্ত্র নিয়ে হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।