নোয়াখালী ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীর স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরির আগুন নিয়ন্ত্রণে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনী
  • আপডেট সময় ১১:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে

স্টার লাইন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দীর্ঘ চারঘণ্টা পর বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।

তবে আগুন এখনো পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৮টা) কারখানাটিতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি স্টেশনের ১৫টি ইউনিট কাজ করছে।

এরআগে শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে ফেনী সদর উপজেলার কাশিমপুরে অবস্থিত কারখানাটিতে আগুন লাগে।

কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভরদুপুরে হঠাৎ কারখানার ডেলিভারি কক্ষে আগুন দেখতে পান শ্রমিকরা। প্রাথমিকভাবে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ১টা ৫৫ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১০ স্টেশনের ১৫টি ইউনিট দীর্ঘ চারঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো পুরোপুরি আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।

স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরির মেশিন অপারেটর হৃদয় বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনের তীব্রতা দেখে সবাই বাইরে চলে আসি। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভানোর কাজ শুরু করেন।’

স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন বলেন, ‘পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণ পণ্যদ্রব্য ফ্যাক্টরির গোডাউনে মজুত ছিল। তবে অগ্নিকাণ্ডে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ফেনীর উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্র আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। আগুনের তীব্রতা দেখে পার্শ্ববর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোকে খবর দেওয়া হয়। এতে ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার ১০টি স্টেশনের ১৫টি ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে আগুন নেভাতে আরও সময়ের প্রয়োজন রয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, আগুন নেভানো সম্পূর্ণ হলেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করা হবে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেনীর স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরির আগুন নিয়ন্ত্রণে

আপডেট সময় ১১:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২

স্টার লাইন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দীর্ঘ চারঘণ্টা পর বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।

তবে আগুন এখনো পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৮টা) কারখানাটিতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি স্টেশনের ১৫টি ইউনিট কাজ করছে।

এরআগে শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে ফেনী সদর উপজেলার কাশিমপুরে অবস্থিত কারখানাটিতে আগুন লাগে।

কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভরদুপুরে হঠাৎ কারখানার ডেলিভারি কক্ষে আগুন দেখতে পান শ্রমিকরা। প্রাথমিকভাবে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ১টা ৫৫ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১০ স্টেশনের ১৫টি ইউনিট দীর্ঘ চারঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো পুরোপুরি আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।

স্টার লাইন ফুড ফ্যাক্টরির মেশিন অপারেটর হৃদয় বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনের তীব্রতা দেখে সবাই বাইরে চলে আসি। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভানোর কাজ শুরু করেন।’

স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন বলেন, ‘পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণ পণ্যদ্রব্য ফ্যাক্টরির গোডাউনে মজুত ছিল। তবে অগ্নিকাণ্ডে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ফেনীর উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্র আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। আগুনের তীব্রতা দেখে পার্শ্ববর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোকে খবর দেওয়া হয়। এতে ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার ১০টি স্টেশনের ১৫টি ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে আগুন নেভাতে আরও সময়ের প্রয়োজন রয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, আগুন নেভানো সম্পূর্ণ হলেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করা হবে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।