নোয়াখালী ০৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনাগাজীতে প্রধান শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি যুবলীগ নেতার

সোনাগাজী সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় ১১:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে

ফেনীর সোনাগাজীতে যুবলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে দক্ষিণ-পূর্ব চরচান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনাথ চন্দ্র দাসকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় যুবলীগের ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অনাথ চন্দ্র দাস। এ ছাড়া রাতেই পৌর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।

অভিযুক্ত যুবলীগের নেতারা হলেন উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন ও আশিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে অনাথ চন্দ্র দাস বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব চরচান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হলে অযৌক্তিক চাঁদার দাবিতে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার, যুবলীগের নেতা জসিম ও আশিকুর রহমান। তাঁদের এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে গত সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ে এসে তাঁদের দাবি না মানলে নির্মাণকাজ, বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়াসহ প্রকাশ্যে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। তাঁদের কথামতো না চললে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে তাঁরা জানান। এ অবস্থায় স্কুলের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম চলমান রাখা, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, জসিম, দেলোয়ার ও আশিকুর—এই তিনজন নানা অযৌক্তিক দাবি করে প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি জানার পর তিনি প্রধান শিক্ষককে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বিষয়টি স্থানীয় সাংসদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দেলোয়ার হোসেন বলেন, সম্প্রতি বিদ্যালয়টির মেরামতসহ কয়েকটি কাজের জন্য সরকারিভাবে কয়েক লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু কোনো কাজ না করে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে বরাদ্দ পাওয়ার পরও কাজ না করার কারণ জানতে চান। সেই বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিতে সভাপতির নির্দেশে প্রধান শিক্ষক অনাথ চন্দ্র দাস তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি গত দুই বছরের বিদ্যালয়ের সব ধরনের বরাদ্দের তথ্য তদন্ত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সোনাগাজীতে প্রধান শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি যুবলীগ নেতার

আপডেট সময় ১১:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২

ফেনীর সোনাগাজীতে যুবলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে দক্ষিণ-পূর্ব চরচান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনাথ চন্দ্র দাসকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় যুবলীগের ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অনাথ চন্দ্র দাস। এ ছাড়া রাতেই পৌর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।

অভিযুক্ত যুবলীগের নেতারা হলেন উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন ও আশিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে অনাথ চন্দ্র দাস বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব চরচান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হলে অযৌক্তিক চাঁদার দাবিতে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার, যুবলীগের নেতা জসিম ও আশিকুর রহমান। তাঁদের এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে গত সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ে এসে তাঁদের দাবি না মানলে নির্মাণকাজ, বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়াসহ প্রকাশ্যে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। তাঁদের কথামতো না চললে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে তাঁরা জানান। এ অবস্থায় স্কুলের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম চলমান রাখা, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, জসিম, দেলোয়ার ও আশিকুর—এই তিনজন নানা অযৌক্তিক দাবি করে প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি জানার পর তিনি প্রধান শিক্ষককে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বিষয়টি স্থানীয় সাংসদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দেলোয়ার হোসেন বলেন, সম্প্রতি বিদ্যালয়টির মেরামতসহ কয়েকটি কাজের জন্য সরকারিভাবে কয়েক লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু কোনো কাজ না করে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে বরাদ্দ পাওয়ার পরও কাজ না করার কারণ জানতে চান। সেই বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিতে সভাপতির নির্দেশে প্রধান শিক্ষক অনাথ চন্দ্র দাস তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি গত দুই বছরের বিদ্যালয়ের সব ধরনের বরাদ্দের তথ্য তদন্ত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছেন।