নোয়াখালী ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর চাটখিল

প্রবাসীর স্ত্রীর ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন যুবলীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১২৭৪ বার পড়া হয়েছে

গ্রেফতারের সময় যুবলীগ নেতা মজিবুল রহমান শরীফ।

নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর (৩৩) দায়ের করা ধর্ষণ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মজিবুল রহমান শরীফ (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতা। তিনি চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক।

রোববার (৩ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল-১ এর বিচারক আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।

খালাসপ্রাপ্ত মজিবুল রহমান শরীফ চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াতির বাড়ির রফিকুল ইসলাম খোকনের ছেলে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী নারী প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রী।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল-১ এর সরকারী কৌশুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ লাভলু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বাদির পক্ষে ১৪ জন স্বাক্ষী দেওয়ার পরও বিচারক আসামিকে খালাস প্রদান করেছেন। বাদি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাকে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী শরীফের দূর সম্পর্কের চাচার স্ত্রী। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে ওই গৃহবধূ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় শরীফ তার টিনশেড ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন এবং উলঙ্গ করে ছবি-ভিডিও ধারণ করে চলে যান। শরীফ যাওয়ার সময় এ ঘটনা সম্পর্কে কাউকে কিছু জানালে ওই গৃহবধূর সন্তান ও পরিবারের ক্ষতি করার হুমকিও দিয়ে যান।

এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে ওইদিন বিকেলে নোয়াখলা ইউনিয়নের ইয়াছিন বাজার থেকে আসামি মজিবুল রহমান শরীফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ১১টি মামলা চলমান আছে।

এদিকে রায়ের সময় মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় ওই নারী বলেন, ‘শরীফ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। সে দুই শিশু সন্তানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে নির্যাতন করেছে। আমি ন্যায়বিচার পাইনি। শরীফ জেল থেকে বের হলে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে। সরকারের কাছে পরিবারসহ আমার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’

বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন কামরান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নোয়াখালীর চাটখিল

প্রবাসীর স্ত্রীর ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন যুবলীগ নেতা

আপডেট সময় ০৯:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর (৩৩) দায়ের করা ধর্ষণ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মজিবুল রহমান শরীফ (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতা। তিনি চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক।

রোববার (৩ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল-১ এর বিচারক আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।

খালাসপ্রাপ্ত মজিবুল রহমান শরীফ চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াতির বাড়ির রফিকুল ইসলাম খোকনের ছেলে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী নারী প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রী।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল-১ এর সরকারী কৌশুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ লাভলু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বাদির পক্ষে ১৪ জন স্বাক্ষী দেওয়ার পরও বিচারক আসামিকে খালাস প্রদান করেছেন। বাদি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাকে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী শরীফের দূর সম্পর্কের চাচার স্ত্রী। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে ওই গৃহবধূ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় শরীফ তার টিনশেড ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন এবং উলঙ্গ করে ছবি-ভিডিও ধারণ করে চলে যান। শরীফ যাওয়ার সময় এ ঘটনা সম্পর্কে কাউকে কিছু জানালে ওই গৃহবধূর সন্তান ও পরিবারের ক্ষতি করার হুমকিও দিয়ে যান।

এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে ওইদিন বিকেলে নোয়াখলা ইউনিয়নের ইয়াছিন বাজার থেকে আসামি মজিবুল রহমান শরীফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ১১টি মামলা চলমান আছে।

এদিকে রায়ের সময় মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় ওই নারী বলেন, ‘শরীফ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। সে দুই শিশু সন্তানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে নির্যাতন করেছে। আমি ন্যায়বিচার পাইনি। শরীফ জেল থেকে বের হলে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে। সরকারের কাছে পরিবারসহ আমার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’

বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন কামরান।