নোয়াখালী ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিবাদে মুসল্লিদের স্মারকলিপি

কোম্পানীগঞ্জে মসজিদ কমিটি দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৩:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১২৬৭ বার পড়া হয়েছে

কোম্পানীগঞ্জে অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে মুসল্লিদের প্রতিবাদ। ইনসেটে বিএনপি নেতা নুরুল আলম সিকদার।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, তিনি মুসল্লিদের মতামত না নিয়ে নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন করেছেন। এ পদে বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এখন পলাতক।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নতুন এ কমিটি বাতিলের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামিমকে স্মারকলিপি প্রদান করেন মুসল্লিরা। এতে শুক্রবার (১ নভেম্বর) জুম্মার সময় মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠনের দাবিও জানান।

স্মারকলিপি প্রদান।

এরআগে গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদারকে সভাপতি ও কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন বিএনপি-জামায়াত নেতারা। এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন ও পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বসুরহাটের ব্যবসায়ী ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. রফিক উল্যাহ বলেন, আমাকে নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি রাখা হয়েছে। আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ ওই কমিটি মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতে  হয়নি। স্বৈরাচারের চরদখলের মতো মসজিদ কমিটি দখল আমরা মানি না। অবৈধ এ কমিটি বাতিলের দাবিতে আলটিমেটামসহ স্মারকলিপি দিয়েছি। বাতিল না হলে মসজিদের স্বার্থে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

মসজিদের মুসল্লি মুফতি মো. হাফিজ উল্যাহ বলেন, এক সময় এ মসজিদ বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দখল করে নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করেছিলেন। তার পলায়নের পর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদারও এখই কায়দায় দখল করলেন। যিনি কখনোই এ মসজিদে ঈদ-জুম্মাসহ পাঞ্জেগানা কোনো নামাজই পড়তে আসেন না। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

কমিটি ঘোষণার সময় নেতৃবৃন্দ।

ব্যবসায়ী মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, নুরুল আলম সিকদারের বাড়ি মসজিদ থেকে ১২ কিলোমিটার দুরে। আমাদের দাবি সকল মুসল্লিদের মতামত নিয়ে দলমত নির্বিশেষে বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ কর্তৃপক্ষকে দায়দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা চাই আলেমদের সমন্বয়ে সকলের মতামতের ভিত্তিতে মসজিদের কমিটি হোক।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন নতুন কমিটি গঠনের সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তিনি দাবি করেন, উপস্থিত মুসল্লিদের মতামত নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদারকে সভাপতি করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলবো।’ পর কল দিলে তিনি আর রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামিম বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। এ বিষয়ে সকল মুসল্লিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতিবাদে মুসল্লিদের স্মারকলিপি

কোম্পানীগঞ্জে মসজিদ কমিটি দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৩:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, তিনি মুসল্লিদের মতামত না নিয়ে নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন করেছেন। এ পদে বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এখন পলাতক।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নতুন এ কমিটি বাতিলের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামিমকে স্মারকলিপি প্রদান করেন মুসল্লিরা। এতে শুক্রবার (১ নভেম্বর) জুম্মার সময় মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠনের দাবিও জানান।

স্মারকলিপি প্রদান।

এরআগে গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদারকে সভাপতি ও কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন বিএনপি-জামায়াত নেতারা। এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন ও পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বসুরহাটের ব্যবসায়ী ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. রফিক উল্যাহ বলেন, আমাকে নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি রাখা হয়েছে। আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ ওই কমিটি মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতে  হয়নি। স্বৈরাচারের চরদখলের মতো মসজিদ কমিটি দখল আমরা মানি না। অবৈধ এ কমিটি বাতিলের দাবিতে আলটিমেটামসহ স্মারকলিপি দিয়েছি। বাতিল না হলে মসজিদের স্বার্থে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

মসজিদের মুসল্লি মুফতি মো. হাফিজ উল্যাহ বলেন, এক সময় এ মসজিদ বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দখল করে নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করেছিলেন। তার পলায়নের পর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদারও এখই কায়দায় দখল করলেন। যিনি কখনোই এ মসজিদে ঈদ-জুম্মাসহ পাঞ্জেগানা কোনো নামাজই পড়তে আসেন না। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

কমিটি ঘোষণার সময় নেতৃবৃন্দ।

ব্যবসায়ী মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, নুরুল আলম সিকদারের বাড়ি মসজিদ থেকে ১২ কিলোমিটার দুরে। আমাদের দাবি সকল মুসল্লিদের মতামত নিয়ে দলমত নির্বিশেষে বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ কর্তৃপক্ষকে দায়দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা চাই আলেমদের সমন্বয়ে সকলের মতামতের ভিত্তিতে মসজিদের কমিটি হোক।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন নতুন কমিটি গঠনের সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তিনি দাবি করেন, উপস্থিত মুসল্লিদের মতামত নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদারকে সভাপতি করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলবো।’ পর কল দিলে তিনি আর রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামিম বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। এ বিষয়ে সকল মুসল্লিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।