হাতিয়া
জামিনে এসে বাদিকে হত্যার হুমকি পর্ণোগ্রাফি মামলার আসামিদের
- আপডেট সময় ০১:০৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪
- / ১২৯২ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ (আইসিটি) আইনে মামলার বাদিকে হত্যা হুমকির অভিযোগ উঠেছে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে।
রোববার (১৬ জুন) সকালে বাদি হাতিয়ার ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মামুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামিরা জামিনে এসে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর ১৮৩৬) রুজু করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন, হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন (৫২), মধ্য রেহানিয়া আবদুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দিন তানবীর (৩৫), ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আরা বেগম (৩৫) ও হাসান উদ্দিন বিপ্লব (সাময়িক বরখাস্ত) এবং হাতিয়া উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম।
এরআগে, এ আসামিরাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে নোয়াখালীর সুধারাম (সদর) থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ (আইসিটি) আইনে মামলা করেন হাতিয়ার ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মামুন অর রশিদ। এ মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার মাইজভান্ডার শরীফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে বাদী মামুন অর রশিদের স্ত্রী নলুয়া রেহান আলী চৌধুরীহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত আপত্তিকর ছবি হ্যাক করে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব করেন।
আরও পড়ুন: হাতিয়ায় দু’সপ্তাহ ধরে ‘পলাতক’ চার শিক্ষক
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুকিব হাসান বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি মো. আমজাদ হোসেন কারাগারে আছেন। বাকি আসামিরা উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। তাদের চারজনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলমান।
এদিকে মোবাইল বন্ধ থাকায় হুমকির বিষয়ে আসামিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে উপসহকারী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলামের ফোন সচল থাকলেও তাকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জিডির সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।