অসহায়দের বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন জামাল
- আপডেট সময় ০৪:২০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৩৬২ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলায় জামাল উদ্দিন ভুট্টু (৩২) নামে কুখ্যাত এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে চরজব্বর থানা পুলিশ। তিনি অসহায় ১২ ব্যক্তিকে বিদেশ পাঠানোর নামে ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামাল উদ্দিন চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কেরামতপুর গ্রামের মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এণ্ড অপস্) মো. ইব্রাহীম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চরজব্বর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আসামি জামাল উদ্দিন ভুট্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের মো. সিরাজ উদ্দিনের (৩৪) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। জামাল উদ্দিন আল-জিহাদ ট্রাভেলস্ এন্ড ট্যুরস্ নামে একটি অফিস খুলে দীর্ঘদিন যাবত নিরীহ মানুষকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন।
বাদি মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘আসামি জামাল উদ্দিন বিকাশের মাধ্যমে আমার চারলাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যান। পরে তার এলাকায় আসার সংবাদে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ জামাল উদ্দিনকে তার বোনের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। তার গ্রেফতারের পর অসংখ্য পাওনাদার থানায় ভীড় করেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি জামাল উদ্দিন বাদি সিরাজ উদ্দিনের সোয়া চারলাখ টাকা ছাড়াও আরও ১১ জনের কাছ থেকে সাড়ে আটলাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এরমধ্যে এনায়েত উল্যাহ পাখির দুইলাখ ১০ হাজার, মো. বাহারের ৮১ হাজার, ফখরুল ইসলামের সাড়ে ৮০ হাজার, মো. লোকমান হোসেনের ৮২ হাজার, মো. হৃদয়ের ৪৪ হাজার, রাজিব মজুমদারের ৬৩ হাজার, শারমিন আক্তারের ৭৪ হাজার, মো. শাকিলের ১৭ হাজার, মো. এনায়েত উল্যাহর একলাখ ১০ হাজার, মো. নুরনবীর মাধ্যমে মো. নিরবের ৪৭ হাজার ও মো. এমরান হোসেনের সাড়ে ৩৮ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার জামাল উদ্দিনকে আদালতে পাঠানোর পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি ভুক্তভোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আরও তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে আনার আবেদন করা হবে।