নোয়াখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ
‘শাহজাহানদের জেলে নেওয়ার আগে সরকারের পতন হবে’
- আপডেট সময় ০৬:২১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৪০৪ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ নেতাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায়ে জেলে নেওয়ার আগে এ সরকারে পতন হবে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার প্রতিবাদে নোয়াখালী জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবেদীন ফারুক আরও বলেন, আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুশয্যায়, তারেক রহমানকে ১০ হাজার কিলোমিটার দুরে রাখা হয়েছে। আর দেশে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় রায় ঘোষণা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ডাকাতের মতো বিএনপি নেতাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এটা বুঝি সুষ্ঠু ভোটের লক্ষণ?
তিনি বলেন, সময় ঘনিয়ে এসেছে। এ সরকারের লুটেরা বাহিনী পালানোর পথ খুঁজছে। এ দেশে তত্ত্বাবধায় ছাড়া শেখ হাসিনার অধীনের আর কোনো নির্বাচন হবে না। প্রয়োজনে ফখরুল-জয়নুলদেরও ৫০ বছর করে সাজা দিন তবুও রাজপথ ছাড়বো না। কয়েকদিনের মধ্যেই এটার ফায়সালা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সহ-সম্পাদক সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মুখ ওবায়দুল কাদেররা তলে তলে পালিয়ে যাবে। তারা আবোল-তাবোল বক্তব্য শুরু করে দিয়েছে। কাদেররা বুঝে গেছে এবার আর ২০১৮ মিশন তাদের সাকসেস হবে না। মো. শাহজাহানরা এ মাটির গর্ব। তাদের জেল-জুলুমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপি নেতা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আবারো প্রমাণ হলো নোয়াখালীর মাটি বিএনপির ঘাঁটি। ষড়যন্ত্রের মিথ্যা মামলায় নির্দেশিত এ রায় আমরা মানি না। একরাতের নোটিশে হাজার হাজার জনতার মিলনমেলায় বলে দিচ্ছে এ সরকারের দিন শেষ। অচিরেই গণতন্ত্রের নতুন সূর্য উদিত হবে।
নোয়াখালী শহীদ মিনারের সামনে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, মো. শাহজাহানের ছেলে আবু ছালেহ আবদুল্লাহ সবুজ, ভিপি জসিম প্রমুখ।
এরআগে দুপুরের পর থেকে নোয়াখালী-৪ আসনের সদর ও সূবর্ণচর উপজেলা থেকে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেয়।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আট বছর আগে রাজধানীর ভাটার থানায় দায়ের করা পুলিশের নাশকতার মামলায় চার বছরের কারদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।