প্রেমের টানে মিশরের তরুণী নোয়াখালীতে
- আপডেট সময় ০৫:১৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
- / ১৪৭৬ বার পড়া হয়েছে
প্রেমের টানে এবার বাঙালি ছেলে গোলাম সারোয়ার বাবুকে (২৬) বিয়ে করে নোয়াখালী এসেছেন মিশরীয় তরুণী ডালিয়া (২৬)। বাবুর বাড়ি জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাতে এ দম্পতি বাড়ি আসার পর এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। বাবু ওই গ্রামের চান মিয়া হাজী বাড়ির গোলাম মাওলার ছেলে।
বাবু বলেন, ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে মিশর যাই। শুরু থেকেই ডালিয়াদের বাসার পাশেই থাকতাম। তার ভাইয়ের সঙ্গে আমার ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। মাঝে মধ্যে ডালিয়াদের বাসায় যেতাম। একপর্যায়ে পছন্দের বিষয়টি ডালিয়াকে জানালে সে সায় দেয়। পরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের দিকে ডালিয়া আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে প্রথমে কেউ রাজি হয়নি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে আইন মেনে পারিবারিকভাবে আমরা বিয়ে করি। ২০২১ সালে আমাদের একটি সন্তান হয়ে মারা যায়। এই প্রথম আমরা দুজন এক সঙ্গে বাংলাদেশে আসলাম।
ডালিয়া বাংলায় বলতে না পারলেও স্বামীর সহযোগিতায় সাংবাদিকদের বলেন, অবশেষে স্বামীর দেশ বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এ দেশের খাবার এবং পরিবেশ আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি বাবুর সঙ্গে বাংলাদেশেরও প্রেমে পড়ে গেছি। আমি এখানে থাকতে চাই।
এক প্রশ্নের জবাবে ডালিয়া বলেন, বাংলাদেশে মাংসের চেয়ে আলু আমার বেশি পছন্দ হয়েছে। এখানকার লোকজন অনেক মিশুক। তবে কারও সঙ্গে মনের ভাব প্রকাশ করে কথা বলতে না পারাটা অনেক কষ্টের। ভবিষ্যতে বাংলা ভাষা শিখে এখানে বসবাস করার ইচ্ছা আছে আমার। এবার দুই মাস থেকে আবার মিশর ফিরে যাবেন এ দম্পতি।
বাবুর বাবা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, বাবু আমাদের সম্মতি নিয়ে মিশরে বিয়ে করেছে। বিদেশিনী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই অনেক খুশি। সে বাংলায় কথা বলতে না পারলেও আমাদের সঙ্গে ইশারা-ইঙ্গিতে কথা বলছেন।
নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, বিদেশি পুত্রবধূকে দেখার জন্য শত শত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করছে। গ্রামের মানুষ এতে খুশি। ছেলে-পুত্রবধূর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
সেনবাগ থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বিদেশি বধূ আসার সংবাদে ওই এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। তাদেরকে থানায় যোগাযোগ রেখে সুবিধা-অসুবিধা জানানোর জন্য বলা হয়েছে।