নোয়াখালী ০২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’ কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ‘পোস্টার ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ মাইজদীর প্রধান সড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ ৩ যুবক গ্রেপ্তার দাগনভূইয়ায় জিআরএস কমিটির সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি কর্মীদের ঝাড়ু মিছিলে নেতাদের হামলা, থানায় মামলা কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতাদের গালে জুতা মারার মিছিল চৌমুহনীতে হসপিটালের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ বিএনপির নবনির্বাচিত যুগ্ম-মহাসচিব এ্যানীকে মেট্রো হোমস চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা নোয়াখালীতে ৩৪ পরিবহন চাঁদাবাজ গ্রেফতার নোবিপ্রবির সঙ্গে ইউজিসির বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই

‘যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধী সাদা হলে মাথা খারাপ, মুসলমান হলে জিহাদি’

ডিজিটাল নোয়াখালী ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:১২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • / ১৪৮০ বার পড়া হয়েছে

তসলিমা নাসরিন

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় ২১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৮ জনই শিশু। মঙ্গলবার (২৪ মে) মেক্সিকো সীমান্তবর্তী উভালদে এলাকার একটি এলিমেন্টারি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকহামলার এ ধরনের ঘটনা অনেকটাই যেন নিয়মিত। যথাযথ বিচার না হওয়া এবং ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কারণেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বারবার ঘটছে বলে মনে করেন নির্বাসিত এবং বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শাস্তি অপরাধীর ধর্ম, বর্ণ, জাত অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি সাদা হলে তাকে মাথা খারাপ বলা হয়, কালো হলে ক্রিমিনাল এবং মুসলমান হলে বলা হয় জিহাদি।

 পাঠকদের জন্য তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘বন্দুক নিয়ে হেঁটে এলো এক লোক, বাচ্চাদের দিকে তাক করে গুলি ছুড়লো। অনেকগুলো বাচ্চা মরে গেল। রক্তে ভেসে গেল ক্লাসরুম বা স্কুলের আঙিনা। এ নতুন কিছু নয় আমেরিকার জন্য। গতকালই টেক্সাসের এক স্কুলে আঠারো-উনিশ জন বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে এক বন্দুকধারী।’

‘আমেরিকার বন্দুক আইন সংশোধন করা সহজ নয়। কেন্দ্রে এক আইন, রাজ্যে রাজ্যে ভিন্ন আইন। মানুষ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চায়। ১০ জনের মধ্যে চারজন আমেরিকানই ঘরে বন্দুক রাখে। তারা তাদের এই বন্দুক, তাদের এই স্বাধীনতা, এই নিরাপত্তা বিসর্জন দেবে না। সাদারা বন্দুক আইন যেমন আছে, তেমন থাকুক চায়। সাদারাই বন্দুক কারখানার মালিক, সাদারাই বন্দুক ক্লাবের সদস্য। সাদারাই ধনী। সাদারাই সরকার পোষে।’

‘অতএব বন্দুক কোনও না কোনও লোকের হাতে আজ না হোক কাল পড়বে। তা নিয়ে সেই লোক মানুষ মারার মজা উপভোগ করতে কাছেপিঠের স্কুলে যাবে। যেহেতু স্কুলে আগেও এরকম বহুবার মজা হয়েছে, সেহেতু এই মজাটা জায়েজ! তারপর লোকটি সাদা হলে তাকে মাথা খারাপ বলা হবে, কালো হলে তাকে ক্রিমিনাল বলা হবে, মুসলমান হলে তাকে জিহাদি বলা হবে। তারপর নটে গাছটি মুড়োবে। শাস্তি যে যার ধর্ম, বর্ণ, জাত অনুযায়ী পাবে। ওদিকে আরও কেউ তৈরি হতে থাকবে মানুষ মারার মজা লোটার জন্য। বড়রা মিসাইল ছোড়ে, তারা না হয় গুলি ছুড়ে হাত পাকায়। বড়দের কাছ থেকেই তো ছোটরা শেখে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

‘যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধী সাদা হলে মাথা খারাপ, মুসলমান হলে জিহাদি’

আপডেট সময় ০৯:১২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় ২১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৮ জনই শিশু। মঙ্গলবার (২৪ মে) মেক্সিকো সীমান্তবর্তী উভালদে এলাকার একটি এলিমেন্টারি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকহামলার এ ধরনের ঘটনা অনেকটাই যেন নিয়মিত। যথাযথ বিচার না হওয়া এবং ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কারণেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বারবার ঘটছে বলে মনে করেন নির্বাসিত এবং বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শাস্তি অপরাধীর ধর্ম, বর্ণ, জাত অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি সাদা হলে তাকে মাথা খারাপ বলা হয়, কালো হলে ক্রিমিনাল এবং মুসলমান হলে বলা হয় জিহাদি।

 পাঠকদের জন্য তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘বন্দুক নিয়ে হেঁটে এলো এক লোক, বাচ্চাদের দিকে তাক করে গুলি ছুড়লো। অনেকগুলো বাচ্চা মরে গেল। রক্তে ভেসে গেল ক্লাসরুম বা স্কুলের আঙিনা। এ নতুন কিছু নয় আমেরিকার জন্য। গতকালই টেক্সাসের এক স্কুলে আঠারো-উনিশ জন বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে এক বন্দুকধারী।’

‘আমেরিকার বন্দুক আইন সংশোধন করা সহজ নয়। কেন্দ্রে এক আইন, রাজ্যে রাজ্যে ভিন্ন আইন। মানুষ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চায়। ১০ জনের মধ্যে চারজন আমেরিকানই ঘরে বন্দুক রাখে। তারা তাদের এই বন্দুক, তাদের এই স্বাধীনতা, এই নিরাপত্তা বিসর্জন দেবে না। সাদারা বন্দুক আইন যেমন আছে, তেমন থাকুক চায়। সাদারাই বন্দুক কারখানার মালিক, সাদারাই বন্দুক ক্লাবের সদস্য। সাদারাই ধনী। সাদারাই সরকার পোষে।’

‘অতএব বন্দুক কোনও না কোনও লোকের হাতে আজ না হোক কাল পড়বে। তা নিয়ে সেই লোক মানুষ মারার মজা উপভোগ করতে কাছেপিঠের স্কুলে যাবে। যেহেতু স্কুলে আগেও এরকম বহুবার মজা হয়েছে, সেহেতু এই মজাটা জায়েজ! তারপর লোকটি সাদা হলে তাকে মাথা খারাপ বলা হবে, কালো হলে তাকে ক্রিমিনাল বলা হবে, মুসলমান হলে তাকে জিহাদি বলা হবে। তারপর নটে গাছটি মুড়োবে। শাস্তি যে যার ধর্ম, বর্ণ, জাত অনুযায়ী পাবে। ওদিকে আরও কেউ তৈরি হতে থাকবে মানুষ মারার মজা লোটার জন্য। বড়রা মিসাইল ছোড়ে, তারা না হয় গুলি ছুড়ে হাত পাকায়। বড়দের কাছ থেকেই তো ছোটরা শেখে।’