নোয়াখালী ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালো বাসা খুঁজে পেতে যা জানা জরুরি

ডিজিটাল নোয়াখালী ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১১:৫৮:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪৮৬ বার পড়া হয়েছে

বিয়ের পর শুরু হয় নবদম্পতির নতুন পথচলা। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, অনেকের নতুন সংসার শুরু হয় নতুন ফ্ল্যাটে, আবার অনেকের ভাড়া বাড়িতে।

তবে পথচলার শুরু যেখানেই হোক, সে ঘরটা যেন হয় একদম মনের মতো ভালোবাসায় ঘেরা। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস! পৃথিবীর সব ভালোবাসার মানুষদের জন্য এ এক বিশেষ দিন।

সাধারণত ভালোবাসার কথা লিখে জানানো কিংবা লাল গোলাপ উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে প্রিয় মানুষকে খুশি করতে যেন কোনো কিছুর কমতি রাখে না মানুষ!

তবে বিয়ের পর এ দায়িত্বের পরিধিটা আরও অনেকখানি বেড়ে যায়। ছোট ছোট সুখের খোঁজ করার পাশাপাশি বর্তমান ও ভবিষ্যতকে নিরাপদ করতে কিছু নতুন কাজ করতে হয়, যেমন ভালো একটা বাসা খুঁজে নেওয়া।

তাই এই ভালোবাসা দিবসে কেননা, দু’জনের জন্য মনের মতো ভালো বাসা খুঁজে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া যাক? সংসার জীবনের প্রথম বাসাটা যে কতটা বিশেষ তা আমরা জানি!

বিয়ের পরপরই যারা নতুন বাসায় উঠেছেন কিংবা উঠবেন বলে ভাবছেন, তাদের বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি! আর তাই ভালো বাসা খোঁজার ক্ষেত্রে মাথায় রাখুন কয়েকটি বিষয়।

ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে যেহেতু বেশ বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়, তাই অনেক সময় নবদম্পতিদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেন একটু কঠিন হয়ে যায়।

এ কারণে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে নবদম্পতিদের বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন, যা ফ্ল্যাট ক্রয়ের সিদ্ধান্তকে আরও সহজ করে তুলবে।

>> অনেক ক্ষেত্রে চাহিদা ও পছন্দ মিলিয়ে প্রপার্টি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তাই আপনার কাছে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে সেটিও আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখা জরুরি।

>> নবদম্পতিদের জন্য বাজেটের উপর নির্ভর করে প্রপার্টির খোঁজ করা সবচেয়ে ভালো। বাজেটের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ফ্ল্যাট ক্রয়ের দিকে অগ্রসর হওয়াই সঠিক পদক্ষেপ হবে ।

>> পছন্দ অনুযায়ী প্রপার্টি খুঁজে পাওয়ার পর, এবার দেখতে হবে আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ লোকেশন থেকে এর অবস্থান কতটা কাছে বা দূরে। এই বিষয়টি বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।

লোকেশনের পাশাপাশি, আপনার বাসা কোন ভবনের কোন ফ্লোরে অবস্থিত ও সেখান থেকে শব্দের মাত্রা ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে ভুলবেন না।

>> একই সঙ্গে যাচাই করতে হবে ইউটিলিটির সংযোগ আছে কি না। এসব বিষয় সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়ার পরই আপনি প্রপার্টির মূল্য সংক্রান্ত অনুসন্ধান করুন।

>> যে মূল্যটি বিক্রেতা হাঁকছেন তা কতটা যুক্তিসংগত তা পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করুন। মূল্যের বিষয়ে সন্তুষ্ট থাকলে আর্থিক সহায়তার উৎস নির্ধারণ করুন।

>> লিগ্যাল ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করতে ভুলবেননা। প্রয়োজনে কাগজপত্র সব ঠিকঠাক আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। সব ঠিকঠাক মনে হলে দর কষাকষি করতে ভুলবেন না!

>> অনেক ক্রেতার কাছেই ফ্ল্যাটের মুল্যের পুরো টাকা একই সঙ্গে থাকে না। সেক্ষেত্রে হোম লোন হতে পারে সমাধান। এখন অনেক স্বনামধন্য ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের নানাবিধ সুবিধা-সংবলিত লোন দিয়ে থাকেন।

>> অনেক দম্পতিই ফ্ল্যাট ক্রয়ের পরিবর্তে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে নিজেদের জন্য মনের মতো একটি বাসা ভাড়া নিতে চান। ভাড়া বাসায় অনেক সময় নিজেদের মতো করে থাকা একটু কঠিন হলেও একদমই অসম্ভব নয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখলে মনের মতো বাসা খুঁজে পাওয়া যায় সহজেই।

ভালো বাসা ভাড়ার ক্ষেত্রে–

>> কোথায় বাসা ভাড়া নিতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে সর্বপ্রথম নিশ্চিত হোন। বাসার লোকেশন থেকে কর্মস্থলের দূরত্ব, আশপাশে বাজার, হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেড সহ অন্যান্য সুবিধাদি কত কাছে বা দূরে তা অবশ্যই যাচাই করে নিন।

>> এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্বন্ধে ধারণা নিন, অনেক বাড়িওয়ালাই আছেন যারা কাবিননামাও দেখতে চান সেক্ষেত্রে, কাবিননামার কপি সঙ্গে রাখুন। একই সঙ্গে আনুষঙ্গিক কি কি নথি প্রয়োজন হতে পারে, যেমন- চাকুরীজীবীদের জন্য কর্মস্থলের আইডি কার্ড, সে সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা নিন।

>> নবদম্পতিদের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেয়ার ক্ষেত্রে যে কাজটি গুরুত্ব সহকারে করতে হবে তা হচ্ছে চেকলিস্ট তৈরি করা। সময় নিয়ে চেকলিস্টে সবকিছু লিখে ফেলতে হবে যাতে করে বাসা দেখতে গিয়ে কোনো কিছু যেন বাদ না পরে যায়। আপনার লিস্টে থাকতে পারে ইউটিলিটি সংযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ।

>> ভবনে সরকারি গ্যাস সংযোগ আছে নাকি সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবস্থা করতে হবে? আরও থাকতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টিও। বিদ্যুৎ সংযোগটি পোস্টপেইড নাকি প্রিপেইড?

>> এগুলোর পাশাপাশি আরও যে বিষয়টি চেকলিস্টে রাখতে পারেন সেটা হচ্ছে, ভাড়ার চুক্তি। ভাড়ার সময়সূচী, অগ্রিম ভাড়ার পরিমাণ ও বাসার ভাড়া কবে নাগাদ আর কতখানি বাড়তে আবার বাড়তে পারে সেই তথ্য।

>> বাংলাদেশে বাসা ভাড়া নেয়ার আগে যে কাজটি করা খুবই জরুরি তা হলো, নোটিশের সময়কাল সম্বন্ধে আগে থেকেই জেনে নেওয়া। এ ছাড়াও ভবন বা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন তা যাচাই করা।

>> বাসার কোনো কিছু মেরামত যোগ্য থাকলে তা অবশ্যই বাড়িওয়ালাকে অবগত করা। সর্বশেষ বাসা ভাড়া নেওয়ার আগে বাসা মালিক থেকে নিয়মকানুন সম্বন্ধে জানতে ভুলবেন না কিন্তু!

>> অনেক সময় ভাড়াটিয়াদের অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। যেমন- ছাঁদ ব্যবহার না করা, প্রধান দরজা বন্ধের সময়কাল ইত্যাদি। বর্তমানে অনেক দম্পতিদের দু’জনই চাকরি অথবা ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন।

>> সেক্ষেত্রে সময় নিয়ে নিজে ফ্ল্যাট কেনা বা ভাড়া নেবার জন্য খোঁজা, সঙ্গে কাগজপত্র, লোনের কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে দেশে রিয়েল এস্টেট-সংক্রান্ত গ্রাহক সেবা প্রদান করার একটি পুরো খাত গড়ে উঠছে, যারা আপনার ফ্ল্যাট কেনা বা ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে।

এ প্রসঙ্গে বিপ্রপার্টির ঢাকা সেন্ট্রাল এর এরিয়া হেড নাফিস শাহনেওয়াজ বলেন, ‘ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরের অন্যান্য বাসিন্দাদের মতো নবদম্পতিদের জন্যও বর্তমানে ক্রয় করা বা ভাড়া নেওয়ার জন্য সঠিক ফ্ল্যাট খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’

‘এর প্রধান কারণ সময় স্বল্পতা ও সঠিক তথ্যের অভাব। আমরা এই সমস্যাগুলোর সমাধান প্রদানেই নিয়োজিত আছি। গ্রাহকদের নিজেদের বাজেট ও অন্যান্য চাহিদার মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে নিজেদের জন্য যুতসই ফ্ল্যাট কেনা বা ভাড়া নেওয়ার জন্য খুঁজে দেওয়া ও যাবতীয় সব সাপোর্ট প্রদান করে থাকি।’

‘এর মধ্যে, যেমন লিগ্যাল সাপোর্ট ও হোম লোন সংক্রান্ত সাপোর্ট, সবই প্রদান করছি আমরা। পাশাপাশি আমরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ সহায়তা দিচ্ছি। নবদম্পতিরা বা যে কেউ চাইলেই আমাদের কাছে এসে নিজেদের প্রপার্টি-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান নিতে পারেন।’

বাসাটি ভাড়া হোক বা কেনা, এটা নবদম্পতিদের জন্য বড় একটি সিদ্ধান্ত ও জীবনের অন্যতম একটি অধ্যায়। ভালোবাসা আবদ্ধ থাকুক ভালো বাসায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভালো বাসা খুঁজে পেতে যা জানা জরুরি

আপডেট সময় ১১:৫৮:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিয়ের পর শুরু হয় নবদম্পতির নতুন পথচলা। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, অনেকের নতুন সংসার শুরু হয় নতুন ফ্ল্যাটে, আবার অনেকের ভাড়া বাড়িতে।

তবে পথচলার শুরু যেখানেই হোক, সে ঘরটা যেন হয় একদম মনের মতো ভালোবাসায় ঘেরা। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস! পৃথিবীর সব ভালোবাসার মানুষদের জন্য এ এক বিশেষ দিন।

সাধারণত ভালোবাসার কথা লিখে জানানো কিংবা লাল গোলাপ উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে প্রিয় মানুষকে খুশি করতে যেন কোনো কিছুর কমতি রাখে না মানুষ!

তবে বিয়ের পর এ দায়িত্বের পরিধিটা আরও অনেকখানি বেড়ে যায়। ছোট ছোট সুখের খোঁজ করার পাশাপাশি বর্তমান ও ভবিষ্যতকে নিরাপদ করতে কিছু নতুন কাজ করতে হয়, যেমন ভালো একটা বাসা খুঁজে নেওয়া।

তাই এই ভালোবাসা দিবসে কেননা, দু’জনের জন্য মনের মতো ভালো বাসা খুঁজে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া যাক? সংসার জীবনের প্রথম বাসাটা যে কতটা বিশেষ তা আমরা জানি!

বিয়ের পরপরই যারা নতুন বাসায় উঠেছেন কিংবা উঠবেন বলে ভাবছেন, তাদের বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি! আর তাই ভালো বাসা খোঁজার ক্ষেত্রে মাথায় রাখুন কয়েকটি বিষয়।

ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে যেহেতু বেশ বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়, তাই অনেক সময় নবদম্পতিদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেন একটু কঠিন হয়ে যায়।

এ কারণে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে নবদম্পতিদের বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন, যা ফ্ল্যাট ক্রয়ের সিদ্ধান্তকে আরও সহজ করে তুলবে।

>> অনেক ক্ষেত্রে চাহিদা ও পছন্দ মিলিয়ে প্রপার্টি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তাই আপনার কাছে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে সেটিও আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখা জরুরি।

>> নবদম্পতিদের জন্য বাজেটের উপর নির্ভর করে প্রপার্টির খোঁজ করা সবচেয়ে ভালো। বাজেটের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ফ্ল্যাট ক্রয়ের দিকে অগ্রসর হওয়াই সঠিক পদক্ষেপ হবে ।

>> পছন্দ অনুযায়ী প্রপার্টি খুঁজে পাওয়ার পর, এবার দেখতে হবে আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ লোকেশন থেকে এর অবস্থান কতটা কাছে বা দূরে। এই বিষয়টি বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।

লোকেশনের পাশাপাশি, আপনার বাসা কোন ভবনের কোন ফ্লোরে অবস্থিত ও সেখান থেকে শব্দের মাত্রা ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে ভুলবেন না।

>> একই সঙ্গে যাচাই করতে হবে ইউটিলিটির সংযোগ আছে কি না। এসব বিষয় সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়ার পরই আপনি প্রপার্টির মূল্য সংক্রান্ত অনুসন্ধান করুন।

>> যে মূল্যটি বিক্রেতা হাঁকছেন তা কতটা যুক্তিসংগত তা পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করুন। মূল্যের বিষয়ে সন্তুষ্ট থাকলে আর্থিক সহায়তার উৎস নির্ধারণ করুন।

>> লিগ্যাল ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করতে ভুলবেননা। প্রয়োজনে কাগজপত্র সব ঠিকঠাক আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। সব ঠিকঠাক মনে হলে দর কষাকষি করতে ভুলবেন না!

>> অনেক ক্রেতার কাছেই ফ্ল্যাটের মুল্যের পুরো টাকা একই সঙ্গে থাকে না। সেক্ষেত্রে হোম লোন হতে পারে সমাধান। এখন অনেক স্বনামধন্য ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের নানাবিধ সুবিধা-সংবলিত লোন দিয়ে থাকেন।

>> অনেক দম্পতিই ফ্ল্যাট ক্রয়ের পরিবর্তে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে নিজেদের জন্য মনের মতো একটি বাসা ভাড়া নিতে চান। ভাড়া বাসায় অনেক সময় নিজেদের মতো করে থাকা একটু কঠিন হলেও একদমই অসম্ভব নয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখলে মনের মতো বাসা খুঁজে পাওয়া যায় সহজেই।

ভালো বাসা ভাড়ার ক্ষেত্রে–

>> কোথায় বাসা ভাড়া নিতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে সর্বপ্রথম নিশ্চিত হোন। বাসার লোকেশন থেকে কর্মস্থলের দূরত্ব, আশপাশে বাজার, হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেড সহ অন্যান্য সুবিধাদি কত কাছে বা দূরে তা অবশ্যই যাচাই করে নিন।

>> এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্বন্ধে ধারণা নিন, অনেক বাড়িওয়ালাই আছেন যারা কাবিননামাও দেখতে চান সেক্ষেত্রে, কাবিননামার কপি সঙ্গে রাখুন। একই সঙ্গে আনুষঙ্গিক কি কি নথি প্রয়োজন হতে পারে, যেমন- চাকুরীজীবীদের জন্য কর্মস্থলের আইডি কার্ড, সে সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা নিন।

>> নবদম্পতিদের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেয়ার ক্ষেত্রে যে কাজটি গুরুত্ব সহকারে করতে হবে তা হচ্ছে চেকলিস্ট তৈরি করা। সময় নিয়ে চেকলিস্টে সবকিছু লিখে ফেলতে হবে যাতে করে বাসা দেখতে গিয়ে কোনো কিছু যেন বাদ না পরে যায়। আপনার লিস্টে থাকতে পারে ইউটিলিটি সংযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ।

>> ভবনে সরকারি গ্যাস সংযোগ আছে নাকি সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবস্থা করতে হবে? আরও থাকতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টিও। বিদ্যুৎ সংযোগটি পোস্টপেইড নাকি প্রিপেইড?

>> এগুলোর পাশাপাশি আরও যে বিষয়টি চেকলিস্টে রাখতে পারেন সেটা হচ্ছে, ভাড়ার চুক্তি। ভাড়ার সময়সূচী, অগ্রিম ভাড়ার পরিমাণ ও বাসার ভাড়া কবে নাগাদ আর কতখানি বাড়তে আবার বাড়তে পারে সেই তথ্য।

>> বাংলাদেশে বাসা ভাড়া নেয়ার আগে যে কাজটি করা খুবই জরুরি তা হলো, নোটিশের সময়কাল সম্বন্ধে আগে থেকেই জেনে নেওয়া। এ ছাড়াও ভবন বা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন তা যাচাই করা।

>> বাসার কোনো কিছু মেরামত যোগ্য থাকলে তা অবশ্যই বাড়িওয়ালাকে অবগত করা। সর্বশেষ বাসা ভাড়া নেওয়ার আগে বাসা মালিক থেকে নিয়মকানুন সম্বন্ধে জানতে ভুলবেন না কিন্তু!

>> অনেক সময় ভাড়াটিয়াদের অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। যেমন- ছাঁদ ব্যবহার না করা, প্রধান দরজা বন্ধের সময়কাল ইত্যাদি। বর্তমানে অনেক দম্পতিদের দু’জনই চাকরি অথবা ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন।

>> সেক্ষেত্রে সময় নিয়ে নিজে ফ্ল্যাট কেনা বা ভাড়া নেবার জন্য খোঁজা, সঙ্গে কাগজপত্র, লোনের কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে দেশে রিয়েল এস্টেট-সংক্রান্ত গ্রাহক সেবা প্রদান করার একটি পুরো খাত গড়ে উঠছে, যারা আপনার ফ্ল্যাট কেনা বা ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে।

এ প্রসঙ্গে বিপ্রপার্টির ঢাকা সেন্ট্রাল এর এরিয়া হেড নাফিস শাহনেওয়াজ বলেন, ‘ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরের অন্যান্য বাসিন্দাদের মতো নবদম্পতিদের জন্যও বর্তমানে ক্রয় করা বা ভাড়া নেওয়ার জন্য সঠিক ফ্ল্যাট খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’

‘এর প্রধান কারণ সময় স্বল্পতা ও সঠিক তথ্যের অভাব। আমরা এই সমস্যাগুলোর সমাধান প্রদানেই নিয়োজিত আছি। গ্রাহকদের নিজেদের বাজেট ও অন্যান্য চাহিদার মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে নিজেদের জন্য যুতসই ফ্ল্যাট কেনা বা ভাড়া নেওয়ার জন্য খুঁজে দেওয়া ও যাবতীয় সব সাপোর্ট প্রদান করে থাকি।’

‘এর মধ্যে, যেমন লিগ্যাল সাপোর্ট ও হোম লোন সংক্রান্ত সাপোর্ট, সবই প্রদান করছি আমরা। পাশাপাশি আমরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ সহায়তা দিচ্ছি। নবদম্পতিরা বা যে কেউ চাইলেই আমাদের কাছে এসে নিজেদের প্রপার্টি-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান নিতে পারেন।’

বাসাটি ভাড়া হোক বা কেনা, এটা নবদম্পতিদের জন্য বড় একটি সিদ্ধান্ত ও জীবনের অন্যতম একটি অধ্যায়। ভালোবাসা আবদ্ধ থাকুক ভালো বাসায়।