স্থানীয় নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান
এমপি একরামুলকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ
- আপডেট সময় ০৮:১৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৬২৮ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির বিশেষ জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সন্ধ্যায় বিষয়টি ডিজিটাল নোয়াখালীকে নিশ্চিত করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে এমপি একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী পৌরসভাসহ কবিরহাট ও সুবর্ণচরের ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট প্রার্থনা ও টাকা দিয়ে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থানের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাই আজকের বৈঠকে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি ও সাধারণ সদস্য পদ থেকে আজীবন বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করেছে জেলা কমিটি।
শিহাব উদ্দিন আরও বলেন, এছাড়া যারা এ পর্যন্ত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন বা সমর্থন দিয়েছেন এ ধরনের পদদিধারী নেতাদের অব্যাহতি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের নেতৃত্বে কমিটির ৮০ শতাংশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলে যোগ করেন শিহাব উদ্দিন শাহীন।
বহিষ্কারের সুপারিশের বিষয়ে জানতে একাধিকবার সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে ফোন দিলেও তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
২৬ জানুয়ারি সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল্লাহ খসরুকে আনারস প্রতীকে ভোট দিতে প্রকাশ্যে মাইকে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য একরাম চৌধুরী। তার বক্তব্যের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে।
এ নিয়ে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ডিজিটাল নোয়াখালীতে ‘নৌকা ঠেকাতে আনারসে ভোট চাইলেন এমপি একরামুল’ শীর্ষক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এর আগে নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সহিদ উল্লাহ খান সোহেলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী লুৎফুল হায়দার লেলিনের (মোবাইল) পক্ষে এবং কবিরহাট উপজেলায় নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী (নিজের ভাই) মো. ইলিয়াছের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ ওঠে একরামুলের বিরুদ্ধে।