নোয়াখালীতে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক, পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ
- আপডেট সময় ১০:১৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
- / ১২৮৮ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় বিষাক্ত সাপ ‘রাসেলস ভাইপার’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দুইস্থানে রাসেলস ভাইপার সদৃশ্য সাপ পিটিয়ে মারার খবরে এবং অতিরিক্ত জোয়ারের দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় আতঙ্কের মাত্রা বেশি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জরুরিভিত্তিতে জেলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ও আট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে হাতিয়ায় ৫০ ভায়াল (১০ ইনজেকশনে এক ভায়াল) মজুদ রয়েছে।
রবিবার (২৩ জুন) রাতে সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি ডিজিটাল নোয়াখালীকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নোয়াখালী জেলা নদী বেষ্টিত জেলা হওয়ায় এখানে সবকটি উপজেলায় বিষাক্ত সাপের উপদ্রব রয়েছে। এরমধ্যে রাসেলস ভাইপার নামে সাপের আতঙ্ক বিরাজ করায় প্রত্যেক উপজেলা হাসপাতালসহ জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ রাখা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী শাহাজান সাজু ডিজিটাল নোয়াখালীকে বলেন, শুক্রবার রাতে আমাদের পাশের এলাকা চরকাঁকড়ার উকিলপাড়া এলাকার মসজিদের পাশে মুসল্লিরা একটি সাপ পিটিয়ে মারে। যা দেখতে অবিকল রাসেলস ভাইপারের মতো। এরপর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলাইড সি’ সাপের দেখা মিলে। চরঈশ্বর ইউনিয়নের কাজীর বাজারের কমলার দীঘি সমুদ্র সৈকতে সাপটি দেখেন স্থানীয়রা। পরে তাসনিম মাহমুদ তানিম নামে এক যুবক এর ছবি তোলেন। রাতে সাপটির বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
এদিকে গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর বিষাক্ত সাপের কামড়ের পর অ্যান্টিভেনম না থাকায় চাটখিল উপজেলার নূপুর কর্মকার (৩২) নামের এক যুবক মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। নিহত নূপুর উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের হরিকৃষ্ণপুর গ্রামের কর্মকার বাড়ির কুন্তল কর্মকারের ছেলে। একই বছরের ১৫ নভেম্বর সাপের কামড়ে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অনন্তপুর গ্রামের প্রবাসী নুরুল ইসলাম রিয়াদের মেয়ে নুসরাত জাহান নুবা (৩) মারা যায়।
সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, সাপ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, প্রয়োজন সচেতনতা। সাপ কাটলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। তবে ওঝা বা ঝাড়ফুঁকের অপেক্ষা করে কালক্ষেপণ করা যাবে না। সাপে কাটা স্থানে কোন মলম বা মালিশ লাগানো উচিত না।