নোয়াখালী ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষের বিদায়

নোয়াখালী মেডিকেলের নতুন অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৯:৩৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
  • / ১৩২৪ বার পড়া হয়েছে

নতুন অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন।

নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের (আমাউমেক) নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন। তিনি চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষ ডা. আবদুস ছালামের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

রোববার (৯ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব শারমিন ইয়াসমিনের সই করা চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চিঠিতে বলা হয়, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার এর কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) তিনি পদায়নকৃত কর্মসংস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় মঙ্গলবার (১১ জুন) তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গন্য হবেন।

কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস ছালাম চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ রকম একটি আদেশ হয়েছে শুনেছি। কপি হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে অধ্যক্ষ ডা. আবদুস ছালামের বিরুদ্ধে মেডিকেল কলেজের ছয়টি কক্ষের সিলিং তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠে। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৪২ লাখ টাকার কাজের বিপরীতে সাড়ে ১১ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনার সত্যতা পায়। তদন্ত শেষে অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস ছালামসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেয় দুদক।

অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস ছালাম।

অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস ছালাম ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর আমাউমেকে অধ্যক্ষ হিসেবে প্রথম যোগদান করে ৮৩ মাস চাকরী করে ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজে বদলী হন। পরে আবারো ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি আবদুল মালেক মেডিকেলে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।

এদিকে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল তার বয়সসীমা শেষে অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই বছর ও দ্বিতীয় দফায় গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আরও তিন বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পান। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে।

২০২৩ সালের মে মাসে অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস ছালামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রণালয়।  তিনি ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করে মেয়াদ শেষ করার অনুমতি পান। এ মেয়াদ শেষেও তিনি পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে বিভিন্ন দফতরে দৌঁড়ঝাপ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষের বিদায়

নোয়াখালী মেডিকেলের নতুন অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন

আপডেট সময় ০৯:৩৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের (আমাউমেক) নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন। তিনি চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষ ডা. আবদুস ছালামের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

রোববার (৯ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব শারমিন ইয়াসমিনের সই করা চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চিঠিতে বলা হয়, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার এর কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) তিনি পদায়নকৃত কর্মসংস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় মঙ্গলবার (১১ জুন) তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গন্য হবেন।

কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস ছালাম চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ রকম একটি আদেশ হয়েছে শুনেছি। কপি হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে অধ্যক্ষ ডা. আবদুস ছালামের বিরুদ্ধে মেডিকেল কলেজের ছয়টি কক্ষের সিলিং তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠে। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৪২ লাখ টাকার কাজের বিপরীতে সাড়ে ১১ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনার সত্যতা পায়। তদন্ত শেষে অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস ছালামসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেয় দুদক।

অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস ছালাম।

অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস ছালাম ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর আমাউমেকে অধ্যক্ষ হিসেবে প্রথম যোগদান করে ৮৩ মাস চাকরী করে ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজে বদলী হন। পরে আবারো ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি আবদুল মালেক মেডিকেলে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।

এদিকে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল তার বয়সসীমা শেষে অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই বছর ও দ্বিতীয় দফায় গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আরও তিন বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পান। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে।

২০২৩ সালের মে মাসে অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস ছালামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রণালয়।  তিনি ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করে মেয়াদ শেষ করার অনুমতি পান। এ মেয়াদ শেষেও তিনি পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে বিভিন্ন দফতরে দৌঁড়ঝাপ করেন।