উপজেলা নির্বাচন
সুবর্ণচরে পরাজিত প্রার্থীর ৩০ সমর্থকের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ
- আপডেট সময় ০৩:১৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
- / ১৩২২ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পরাজিত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের ৩০ সমর্থকের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পরাজিত প্রার্থীর অন্তত ৫০ জনকে আহত করা হয়েছে।
রোববার (১২ মে) বেলা ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ভোটের দিন চর মহিউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন এন এ প্রো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কমপক্ষে ১০টি কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে অব্যবহৃত ব্যালটে আনারস প্রতীকের সিল মারা হয়, যা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
ভোট শুরুর পর বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালান আনারস প্রতীকের সমর্থকরা। হামলায় দোয়াত-কলম প্রতীকের কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হন। ভোট শেষে সন্ধ্যায় শুরু হয় দোয়াত-কলম প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি এবং বাজারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে হামলা। গত চারদিনে সুবর্ণচরের আট ইউনিয়নে আমার অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চর জব্বার ইউনিয়নের চেউয়াখালি বাজারেই ভাঙচুর করা হয়েছে কমপক্ষে ১৫টি দোকান। প্রতিপক্ষের হামলা ও ভাঙচুরে আমার কর্মী-সমর্থকদের অনেকে এখন বাড়িছাড়া।
আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশ শুরু হলে ৬১ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি প্রায় এক হাজার ৩০০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই আনারস প্রতীকের প্রার্থী সংসদ সদস্যের ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী উপজেলা পরিষদে যাওয়ার পর ফলাফল ঘোষণা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তিনঘণ্টা পর ঘোষিত ফলাফলে আমাকে ৭০৩ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ফুয়াদ হোসেন, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গত কয়েক দিনে হামলা, ভাঙচুর ও নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও চিত্র সাংবাদিকদের প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়। এ সময় নির্বাচন–পরবর্তী হামলা, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী, চর জব্বার ইউনিয়নের চেউয়াখালি এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. মোস্তফা, মাঈন উদ্দিন, আপন ভূঁইয়া দোয়াত-কলম প্রতীকের ভোট করার কারণে তাদের ওপর ভোটের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দেন। এ সময় নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ও তার ছেলে নবনির্বাচিত সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করলেও তারা রিসিভ করেননি।