নোয়াখালী ০১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শোক দিবসের আলোচনা সভা

নোয়াখালী আ’লীগকে ধ্বংস করে দিয়েছে পূর্বদিকের সেফুদা: এমপি একরাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০২:৫০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৩৮২ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীতে পূর্ব দিকের শব্দ বোমাবাজ এক সেফুদা জেলা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে শোক দিবসের র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ইঙ্গিত করে এসব কথা বলেন।

একরাম চৌধুরী বলেন, এই এক সেফুদা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও বলে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও বলে, ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধেও বলে। এখন নাকি শুনলাম শব্দবোমা থেকে বাঁচতে সারাদেশের সকল কনট্রাকটর (ঠিকাদার) এ সেফুদার সঙ্গে যোগাযোগ করতেছে।

তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, আমি চক্রান্তের শিকার। যে ভদ্রলোক আওয়ামী লীগের মিছিলের উপর গাড়ি তুলে দিয়েছিলো আজকে তিনি নাকি নোয়াখালী শহরে এসে বড় বড় কথা বলেন। এখন মার্কেটে শোনা যায় জেলা আওয়ামী লীগের কর্ণধাররা বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। আমি বলবো- কীভাবে ছয়তলা দুটি বাড়ির মালিক হয়েছেন আমরা জানি। মুখ খুললে মৃত্যুর পর কেউ আপনার মুখ দেখতেও আসবে না।

সভায় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান সভাপতিত্ব করলেও এতে জেলা আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা অংশগ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে জানতে সামছুদ্দিন জেহানকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, এটি এমপি একরামের ব্যক্তিগত সভা। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জেলা আওয়ামী লীগ জাতির জনকের স্মরণে পৌরসভাসহ প্রত্যেক উপজেলা ও ইউনিয়নগুলোতে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

নোয়াখালী-৪ সদর আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিগত কমিটিতে তাকে বাদ দিয়ে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদুল্লাহ্ খান সোহেলকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরআগে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তার পরিবার নিয়ে বিতর্কিত নানা মন্তব্য করে সমালেচিত হন এমপি একরামুল।

নিউজটি শেয়ার করুন

শোক দিবসের আলোচনা সভা

নোয়াখালী আ’লীগকে ধ্বংস করে দিয়েছে পূর্বদিকের সেফুদা: এমপি একরাম

আপডেট সময় ০২:৫০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

নোয়াখালীতে পূর্ব দিকের শব্দ বোমাবাজ এক সেফুদা জেলা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে শোক দিবসের র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ইঙ্গিত করে এসব কথা বলেন।

একরাম চৌধুরী বলেন, এই এক সেফুদা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও বলে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও বলে, ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধেও বলে। এখন নাকি শুনলাম শব্দবোমা থেকে বাঁচতে সারাদেশের সকল কনট্রাকটর (ঠিকাদার) এ সেফুদার সঙ্গে যোগাযোগ করতেছে।

তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, আমি চক্রান্তের শিকার। যে ভদ্রলোক আওয়ামী লীগের মিছিলের উপর গাড়ি তুলে দিয়েছিলো আজকে তিনি নাকি নোয়াখালী শহরে এসে বড় বড় কথা বলেন। এখন মার্কেটে শোনা যায় জেলা আওয়ামী লীগের কর্ণধাররা বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। আমি বলবো- কীভাবে ছয়তলা দুটি বাড়ির মালিক হয়েছেন আমরা জানি। মুখ খুললে মৃত্যুর পর কেউ আপনার মুখ দেখতেও আসবে না।

সভায় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান সভাপতিত্ব করলেও এতে জেলা আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা অংশগ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে জানতে সামছুদ্দিন জেহানকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, এটি এমপি একরামের ব্যক্তিগত সভা। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জেলা আওয়ামী লীগ জাতির জনকের স্মরণে পৌরসভাসহ প্রত্যেক উপজেলা ও ইউনিয়নগুলোতে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।

নোয়াখালী-৪ সদর আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিগত কমিটিতে তাকে বাদ দিয়ে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদুল্লাহ্ খান সোহেলকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরআগে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তার পরিবার নিয়ে বিতর্কিত নানা মন্তব্য করে সমালেচিত হন এমপি একরামুল।