নোয়াখালী ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোবিপ্রবির শিক্ষিকা তৃষা সাহার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৮:১৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • / ১৪৭৪ বার পড়া হয়েছে

এমআইএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তৃষা সাহা।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের  সহকারী অধ্যাপক তৃষা সাহার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জিয়াউল হক উপাচার্য ও ডিন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, তৃষা সাহা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হলেও কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত নেই। বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ২য় টার্মের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হয়েও নেননি ফাইনাল ভাইভা পরীক্ষা। এছাড়া তিনি স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে একাডেমিক কমিটির পর পর চারটি সভায়ও উপস্থিত হননি। তাকে এ ব্যাপারে বলা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সামনে এমআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগি অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হকসহ শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।

সহযোগি অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হক বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ নিষেধও শোনেন না তৃষা সাহা। স্বেচ্ছাচারীভাবে সকল নোটিশও উপেক্ষা করে আসছেন। ছুটি না নিয়ে দিনের পর দিন অনুপস্থিত রয়েছেন। তার খামখেয়ালীতে আটকে আছে শিক্ষার্থীদের ফলাফল। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিভাগের শিক্ষা-কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করে ও তার স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই বিষয়টি চাকুরী বিধিমালা পরিপন্থি হওয়ায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, অন্যান্য ব্যাচের ভাইভা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন কোর্সসমূহের পরীক্ষক হিসেবে সেমিস্টার ফাইনালের মার্কস সমূহ জমা না দেওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে  ফলাফল প্রকাশ করতে  পারছেন না  শিক্ষকবৃন্দ। এতে আমরা দুচিন্তার মধ্যে রয়েছি। দ্রুত আমাদের ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত তৃষা সাহাকে ফোন করলে প্রথমে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে দুইঘন্টা পর ফোন দিতে বলেন। দুই ঘন্টা পর বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। এর কিছুক্ষণ পর ফোন করে জানান, অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে তার বিরুদ্ধে একটি মহল মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে এবং আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য ড. মো. দিদার উল আলমকে ফোন দিলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার খালেদ মেহেদী রিসিভ করে বলেন, ‘স্যার ব্যস্ত আছেন পরে ফোন করেন।’ পরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এসএম মাহবুবুর রহমানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, অভিযোগে অনেকগুলো বিষয় থাকায় তদন্তে সময় লাগছে। অচিরেই প্রতিবেদন দাখিল করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

 

এমই/আইএইচএম/জেএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

নোবিপ্রবির শিক্ষিকা তৃষা সাহার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:১৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের  সহকারী অধ্যাপক তৃষা সাহার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জিয়াউল হক উপাচার্য ও ডিন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, তৃষা সাহা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হলেও কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত নেই। বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ২য় টার্মের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হয়েও নেননি ফাইনাল ভাইভা পরীক্ষা। এছাড়া তিনি স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে একাডেমিক কমিটির পর পর চারটি সভায়ও উপস্থিত হননি। তাকে এ ব্যাপারে বলা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সামনে এমআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগি অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হকসহ শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।

সহযোগি অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হক বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ নিষেধও শোনেন না তৃষা সাহা। স্বেচ্ছাচারীভাবে সকল নোটিশও উপেক্ষা করে আসছেন। ছুটি না নিয়ে দিনের পর দিন অনুপস্থিত রয়েছেন। তার খামখেয়ালীতে আটকে আছে শিক্ষার্থীদের ফলাফল। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিভাগের শিক্ষা-কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করে ও তার স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই বিষয়টি চাকুরী বিধিমালা পরিপন্থি হওয়ায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, অন্যান্য ব্যাচের ভাইভা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন কোর্সসমূহের পরীক্ষক হিসেবে সেমিস্টার ফাইনালের মার্কস সমূহ জমা না দেওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে  ফলাফল প্রকাশ করতে  পারছেন না  শিক্ষকবৃন্দ। এতে আমরা দুচিন্তার মধ্যে রয়েছি। দ্রুত আমাদের ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত তৃষা সাহাকে ফোন করলে প্রথমে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে দুইঘন্টা পর ফোন দিতে বলেন। দুই ঘন্টা পর বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। এর কিছুক্ষণ পর ফোন করে জানান, অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে তার বিরুদ্ধে একটি মহল মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে এবং আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য ড. মো. দিদার উল আলমকে ফোন দিলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার খালেদ মেহেদী রিসিভ করে বলেন, ‘স্যার ব্যস্ত আছেন পরে ফোন করেন।’ পরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এসএম মাহবুবুর রহমানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, অভিযোগে অনেকগুলো বিষয় থাকায় তদন্তে সময় লাগছে। অচিরেই প্রতিবেদন দাখিল করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

 

এমই/আইএইচএম/জেএফ