নোয়াখালী জিলা স্কুল
প্রশ্নে শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক লিখে বিপাকে শিক্ষক
- আপডেট সময় ০৯:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১২৭১ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী জিলা স্কুলের একটি পরীক্ষার প্রশ্নে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক লিখে আবুল হোসেন গাজী নামে এক শিক্ষক বিপাকে পড়েছেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে ছাত্ররা হট্টগোল করলে পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্রে ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক’ উল্লেখ করায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কক্ষে চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে এনিয়ে কথা বলতে গেলে তোপের মুখে পড়েন শিক্ষকেরা।
আসিফ হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী ডিজিটাল নোয়াখালীকে বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্নে ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক’ হিসেবে উল্লেখ করায় পরীক্ষা শেষে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে আমরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাই।
ওই শিক্ষার্থী আরও জানান, ছাত্ররা প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে হট্টগোল শুরু করে। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক আবুল হোসেন গাজীকে ডেকে আনেন। পরে ভুলক্রমে ওই প্রশ্ন করেছেন বলে শিক্ষক স্বীকার করেন।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ডিজিটাল নোয়াখালীকে বলেন, পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি পাঠ (লেসন) রয়েছে। সেখান থেকে প্রশ্ন করতে গিয়ে শিক্ষক আবুল হোসেন গাজী স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করেছেন। এ জন্য বিষয়টি নিয়ে অনেকে তার কক্ষে এসে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তিনি এ জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে কৈফিয়ত তলব করেছেন। ওই শিক্ষক তার ভুল স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ভুল না হয়, সে বিষয়ে তাকে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের দুটি শিফটে অনেকগুলো প্রশ্ন করা হয়। সব প্রশ্ন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আমাদের দেখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তা ছাড়া প্রশ্ন প্রণয়নের সময় শিক্ষকেরা এমনিতেই সতর্ক থাকেন। এরপরও ভুলটি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আমরাও সতর্ক থাকবো।’
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ডিজিটাল নোয়াখালীকে বলেন, নোয়াখালী জিলা স্কুলের প্রশ্নপত্রে শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করায় কিছুটা হট্টগোল হয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।