নোয়াখালী ১২:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেগমগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৫, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০২:৪০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
  • / ১৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিদেশী পিস্তল-গুলিসহ ডাকাতির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এরা পরিকল্পিত নকশা বানিয়ে নিশানা মতো ডাকাতি করে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হচ্ছেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম মকরধস গ্রামের ইউসুফের ছেলে আরিফ হোসেন (২৮), মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মো. জুয়েল (২৩), রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. মাসুদ আলম (৪০), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরহাজীপুর গ্রামের মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন সুজন প্রকাশ খালাশী সুজন (৩০) ও চাটখিল উপজেলার পশ্চিম পরকোট গ্রামের নুর মিয়া পাটোয়ারীর ছেলে ফজর আলী জাহাঙ্গীর প্রকাশ কেচি জাহাঙ্গীর (৪৫)।

তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি, গ্রীল-তালা কাটার যন্ত্র, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আসামীদের মধ্য আরিফ, জুয়েল ও খালাশী সুজন ডাকাতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, গত মঙ্গল ও বুধবার নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ মডেল থানা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের এ পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নোয়াখালীসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন থাকায় ডাকাতির বহু মামলা রয়েছে।

শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সুচতুর ডাকাতরা অনেকদিন আগে থেকে ডাকাতির পরিকল্পনা করে নকশা তৈরি করে। খোঁজখবর নিয়ে সুযোগ বুঝে সে মোতাবেক হানা দিয়ে মালামাল লুট করে নিরাপদে অন্য জেলায় সরে পড়ে। ঘটনার আগের রাতে খালাশী সুজনের বাড়িতে অচেনা লোকের আনাগোনার সূত্র ধরেই চক্রের সন্ধান মিলে। তাদের দলনেতাসহ অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

এরআগে গত ৮ জুলাই (শনিবার) দিনগত গভীররাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাহার মিয়ার বাড়িতে হানা দেয় ডাকাত দল। এসময় ডাকাতরা ঘরের গ্রীল ও তালাকেটে বাহার মিয়া এবং তার নাতনিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ সাড়ে ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ইব্রাহিম খলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হায়দার রাজিব, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি, সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

আইএইচএম/জেএফ.

নিউজটি শেয়ার করুন

বেগমগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৫, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

আপডেট সময় ০২:৪০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিদেশী পিস্তল-গুলিসহ ডাকাতির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এরা পরিকল্পিত নকশা বানিয়ে নিশানা মতো ডাকাতি করে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হচ্ছেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম মকরধস গ্রামের ইউসুফের ছেলে আরিফ হোসেন (২৮), মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মো. জুয়েল (২৩), রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. মাসুদ আলম (৪০), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরহাজীপুর গ্রামের মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন সুজন প্রকাশ খালাশী সুজন (৩০) ও চাটখিল উপজেলার পশ্চিম পরকোট গ্রামের নুর মিয়া পাটোয়ারীর ছেলে ফজর আলী জাহাঙ্গীর প্রকাশ কেচি জাহাঙ্গীর (৪৫)।

তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি, গ্রীল-তালা কাটার যন্ত্র, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আসামীদের মধ্য আরিফ, জুয়েল ও খালাশী সুজন ডাকাতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, গত মঙ্গল ও বুধবার নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ মডেল থানা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের এ পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নোয়াখালীসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন থাকায় ডাকাতির বহু মামলা রয়েছে।

শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সুচতুর ডাকাতরা অনেকদিন আগে থেকে ডাকাতির পরিকল্পনা করে নকশা তৈরি করে। খোঁজখবর নিয়ে সুযোগ বুঝে সে মোতাবেক হানা দিয়ে মালামাল লুট করে নিরাপদে অন্য জেলায় সরে পড়ে। ঘটনার আগের রাতে খালাশী সুজনের বাড়িতে অচেনা লোকের আনাগোনার সূত্র ধরেই চক্রের সন্ধান মিলে। তাদের দলনেতাসহ অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

এরআগে গত ৮ জুলাই (শনিবার) দিনগত গভীররাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাহার মিয়ার বাড়িতে হানা দেয় ডাকাত দল। এসময় ডাকাতরা ঘরের গ্রীল ও তালাকেটে বাহার মিয়া এবং তার নাতনিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ সাড়ে ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ইব্রাহিম খলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হায়দার রাজিব, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি, সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

আইএইচএম/জেএফ.