ঘুস না দেওয়ায় হেনস্তা
নোয়াখালীতে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা
- আপডেট সময় ০৬:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
- / ১৪১৮ বার পড়া হয়েছে
ঘুসের টাকা না পেয়ে হেনস্তার অভিযোগে নোয়াখালীর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মোহাম্মদ আন্দালিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওমর সাহেদ রিশাদ নামে এক ঠিকাদার।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবু সাঈদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজান মামলাটি গ্রহণ করে বুধবার (১২ জুলাই) জুডিসিয়াল সাক্ষীর জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের স্টাফ কর্মকর্তা জাহিদ হাসান অপু ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফ শিকদার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স ওমর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর সাহেদ রিশাদ নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিবের নির্দেশে সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিস ভবনের মেরামতের কাজ করেন। গত ১৬ এপ্রিল ১৭ লাখ ৫ হাজার ৪৫৬ টাকার বিল চাইতে গেলে আসামিরা ২০ শতাংশ ঘুস দাবি করেন। বাদী ঘুস দিতে অপারগতা জানালে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে বাদিকে মারধরসহ লাঞ্ছিত করেন আসামিরা।
এদিকে চাহিদামতো কমিশন না দিলে গণপূর্ত বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিল আটক ও কর্তনের অভিযোগ করেছেন অনেক ঠিকাদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, টাকা ছাড়া কোনো বিলে সই করেন না কর্মকর্তারা। তাদের খুশি করতে না পারলে বছরের পর বছর আটকে থাকে ঠিকাদারদের পাওনা টাকা। স্টাফ কর্মকর্তা জাহিদ হাসান স্থানীয় হওয়ায় অনেকে বিল চেয়ে তাদের হাতে লাঞ্ছিতও হয়েছেন।
মামলার বাদী ওমর সাহেদ রিশাদ দাবি করেন, চাহিদা মতো ঘুস দিতে রাজি না হওয়ায় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মোহাম্মদ আন্দালিবের নেতৃত্বে তার কক্ষে দুই কর্মকর্তাসহ আমাকে মারধর করেন। এখন তিনি আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকিসহ ব্যবসা থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দিচ্ছেন। আমি এর বিচার চাই।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন আবির বলেন, বাদীকে মিথ্যা আশ্বাসে প্রতারণা ও ঘুস দাবিসহ লাঞ্ছিত করায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৪২০, ৪০৬, ৩৮৪, ৩৮৬, ৩৮৭, ৩০৭, ৩২৩, ৫০৬ (২) ও ১০৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মোহাম্মদ আন্দালিব বলেন, প্রসেস ছাড়া বিলের টাকা দাবি করায় ঠিকাদারের সঙ্গে কর্মকর্তাদের তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এখানে ঘুস দাবির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে স্টাফ কর্মকর্তা জাহিদ হাসানকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফ শিকদার মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।