নোয়াখালী ০৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইকালে পুলিশ সদস্যকে ধরে গণপিটুনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে

আটক পুলিশ জিয়াউদ্দিন পারভেজ।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চালকের চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে অটোরিকশা ছিনতাইকালে মো. জিয়াউদ্দিন পারভেজ নামে এক পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে চরফকিরা ইউনিয়নের ১৬নং স্লুইস সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আটক মো. জিয়াউদ্দিন পারভেজ নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সে পুলিশ কনস্টেবল (বিপি-৯৮১৮২২২৬৪৩) পদে কর্মরত। ৩ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের সিএল ছুটিতে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের কচুয়া গ্রামের বাড়িতে যান। ছুটি শেষে রোববার নোয়াখালী যাওয়ার পথে অসৎ উদ্দেশ্যে কোম্পানীগঞ্জ আসেন। উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দেনা পরিশোধ করতে তিনি এ কাজ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকালে পুলিশ সদস্য আটক হওয়ার ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইকালে পুলিশ সদস্যকে ধরে গণপিটুনি

আপডেট সময় ০৭:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চালকের চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে অটোরিকশা ছিনতাইকালে মো. জিয়াউদ্দিন পারভেজ নামে এক পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে চরফকিরা ইউনিয়নের ১৬নং স্লুইস সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আটক মো. জিয়াউদ্দিন পারভেজ নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সে পুলিশ কনস্টেবল (বিপি-৯৮১৮২২২৬৪৩) পদে কর্মরত। ৩ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনের সিএল ছুটিতে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের কচুয়া গ্রামের বাড়িতে যান। ছুটি শেষে রোববার নোয়াখালী যাওয়ার পথে অসৎ উদ্দেশ্যে কোম্পানীগঞ্জ আসেন। উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দেনা পরিশোধ করতে তিনি এ কাজ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকালে পুলিশ সদস্য আটক হওয়ার ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।