নোয়াখালী ০১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোম্পানীগঞ্জে দুইপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ৭ পুলিশ আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০১:৫২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১৫১৯ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা ও তাদের প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ওসিসহ সাত পুলিশ আহত হয়েছেন।

আহতরা হচ্ছেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল আউয়াল সুমন, মো. আবদুল মোমেন, কনস্টেবল মো. আলমগীর হোসেন, মো. তানভীর আহাম্মেদ, উথোয়াই চিং রোয়াজা ও বিধান দেবনাথ। তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় ৬নং রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুপুরে কাদের মির্জার হাতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উল্যা লাঞ্ছিতের ঘটনায় সন্ধ্যায় বামনীতে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ভাগনে সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থকরা ঝাড়ু মিছিল বের করে। পরে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে তাদের সমর্থিত প্রার্থী ইকবাল বাহার চৌধুরী সমর্থকরা পাল্টা মিছিল বের করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সংঘর্ষকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে। এতে ওসিসহ সাত পুলিশ আহত হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতে ডিজিটাল নোয়াখালীকে বলেন, এ ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও এক-দেড়শ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা রুজু করা হয়েছে।

অপরদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় মেয়র কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

তিনি বলেন, রামপুরের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজিস সালেকিন রিমন (কাদের মির্জার ভাগনে) ও সাবেক চেয়ারম্যান আনছার উল্যাহর নেতৃত্বে আমার ছেলের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে কাদের মির্জার ভাগনে প্রার্থী সিরাজিস সালেকিন রিমন ও আনছার উল্যাহ হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এখানে কোথাও হামলার ঘটনা ঘটেনি। কাদের মির্জা দুপুরের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এসব অভিযোগ করছেন।

আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি রামপুরসহ কোম্পানীগঞ্জের আট ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কোনো পক্ষকেই নৌকা প্রতীক দেয়নি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

কোম্পানীগঞ্জে দুইপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ৭ পুলিশ আহত

আপডেট সময় ০১:৫২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা ও তাদের প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ওসিসহ সাত পুলিশ আহত হয়েছেন।

আহতরা হচ্ছেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল আউয়াল সুমন, মো. আবদুল মোমেন, কনস্টেবল মো. আলমগীর হোসেন, মো. তানভীর আহাম্মেদ, উথোয়াই চিং রোয়াজা ও বিধান দেবনাথ। তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় ৬নং রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুপুরে কাদের মির্জার হাতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উল্যা লাঞ্ছিতের ঘটনায় সন্ধ্যায় বামনীতে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ভাগনে সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থকরা ঝাড়ু মিছিল বের করে। পরে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে তাদের সমর্থিত প্রার্থী ইকবাল বাহার চৌধুরী সমর্থকরা পাল্টা মিছিল বের করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সংঘর্ষকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে। এতে ওসিসহ সাত পুলিশ আহত হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতে ডিজিটাল নোয়াখালীকে বলেন, এ ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও এক-দেড়শ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা রুজু করা হয়েছে।

অপরদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় মেয়র কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

তিনি বলেন, রামপুরের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজিস সালেকিন রিমন (কাদের মির্জার ভাগনে) ও সাবেক চেয়ারম্যান আনছার উল্যাহর নেতৃত্বে আমার ছেলের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে কাদের মির্জার ভাগনে প্রার্থী সিরাজিস সালেকিন রিমন ও আনছার উল্যাহ হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এখানে কোথাও হামলার ঘটনা ঘটেনি। কাদের মির্জা দুপুরের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এসব অভিযোগ করছেন।

আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি রামপুরসহ কোম্পানীগঞ্জের আট ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কোনো পক্ষকেই নৌকা প্রতীক দেয়নি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।