মুছাপুর ইউপি নির্বাচন
আমেরিকায় ব্যবসা রেখে ‘জনসেবা’ করতে চান আইয়ুব আলী
- আপডেট সময় ১১:১৬:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
আমেরিকায় পারিবারিক ব্যবসা রেখে এসে জনসেবা করতে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের আইয়ুব আলী।
তিনি আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে আনারস প্রতীকে মুছাপুরে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলা বাজারে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন আইয়ুব আলী।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল হক।
ইশতেহারে আইয়ুব আলী বলেন, জন্ম নিবন্ধন জটিলতা দূরীকরণ ও হয়রানি বন্ধ করা এবং সরকার নির্ধারিত ফি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে বহন করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন সেবা প্রদান।
এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুঃস্থ ভাতার কার্ড বিনামূল্যে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বন্টন করা। চারিত্রিক সনদ, নাগরিকত্ব সনদ বিনামূল্যে প্রদান করা। মসজিদ, মক্তবসহ সকল ধর্মীয় উপসনালয়ে অনুদান প্রদানের মাধ্যমে উন্নয়ন করা। সকল রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও সমঅধিকার নিশ্চিত করা। মদ,জুয়ার আড্ডা বন্ধ করা। মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সরকারি ত্রানের সুষম বন্টন করা। সালিশ বাণিজ্য বন্ধ করা, গ্রাম আদালত শক্তিশালী করণের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, সালিশের নামে হয়রানি ও ঘুষ বন্ধ করা আমার অঙ্গীকার।
আইয়ুব আলী বলেন, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাস্তানী বন্ধ করে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরী করা হবে। মুছাপুরের সকল হাঁট-বাজারে সকল মতের ঊর্ধ্বে উঠে ব্যবসায়ী ও সুধীজনদের নিয়ে বাজার কমিটি গঠন করা হবে।
প্রবাসী আইয়ুব আলী অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশা দিলেও একই দিন বিকেলে আমার মহিলা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিন চৌধুরীর কর্মীরা। এই হামলার বিচার আমি মুছাপুরের জনগনের হাতে তুলে দিলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আইয়ুব আলী ব্যক্তিগত জীবনে সফল। তার কোনো পিছুটান নেই। তার কোনো চাওয়া পাওয়াও নেই, তাই আমার বিশ্বাস সে মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করবে না। গরিবের হক নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে না। সে চেয়ারম্যান না হয়েও এলাকার মানুষের জন্য যে কাজ করেছে আমার বিশ্বাস সে নির্বাচিত হলে এর চেয়ে অনেক বেশি কাজ করবে।