নোয়াখালী ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সূবর্ণচরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত ৬

সুবর্ণচর সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় ০৬:৪০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে পরাজিত সদস্য প্রার্থীর হামলায় বিজয়ী সদস্য প্রার্থীর ভাইসহ ছয়জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চরজুবলীর ফাঙ্কার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনটি অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।

এতে ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য প্রার্থী মনজুর আলমের বড় ভাই সালাউদ্দিন, মুরাদ, সোহেল, আলমগীর, হুমায়নসহ ছয়জন আহত হন। আহতদের সুবর্ণচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ইউপির বিজয়ী সদস্য প্রার্থী মনজুর আলম স্থানীয় বাজারে পরাজিত প্রার্থী মো. খলিল উল্যাহর সঙ্গে দেখা করে কোলাকুলি করে দুজন একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন। পরে মনজুর আলম অন্যত্র চলে যান। এরপর মনজুর আলম খলিলকে আটকে রেখেছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে খলিলের সমর্থকেরা দেশি অস্ত্র, লোহার রড নিয়ে মনজুর আলমের সমর্থকদের ওপর হামলা করেন।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পরাজিত প্রার্থী খলিল উল্যাহ বলেন, ‘নির্বাচনের পর ফল মেনে নিয়ে কর্মী-সমর্থককে নিজের বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছি। নিজেও বাড়িতে অবস্থান করেছি। আমার কোনো লোক কোনো ধরনের হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। আমি যত দূর জেনেছি, হামলার ঘটনা বিজয়ী প্রার্থীর লোকজনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে।’

বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী মনজুর আলমের বলেন, ফলাফল পাওয়ার পর তাঁর কর্মী-সমর্থকদের কোনো ধরনের বিজয় মিছিল কিংবা জড়ো হতে দেননি। তিনি বাজারে খলিল উল্যাহর সঙ্গে দেখা করে স্থানীয় একরামনগর বাজারে চলে যান। এরপর তিনি জানতে পারেন, তাঁর লোকজনকে খলিলের ছোট ভাই মাইন উদ্দিন ও ভাগনে ইউছুপের নেতৃত্বে দেলোয়ার, আশরাফসহ ১০ থেকে ১২ জন এলোপাতাড়ি মারধর করেন। তিনি ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, হামলার ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।

মনজুর আলম অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘প্রশাসনের কঠোর নজর দারিতে ভোট হয়েছে। ফলে পরাজিত প্রার্থী খলিল উল্যাহ কোনো সুবিধা করতে না পেরে রাতে ভোট না দেওয়ায় অনেক কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের মধ্যম ব্যাগ্যা গ্রামে আমার বড় ভাই সালাউদ্দিনকে একা পেয়ে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

সূবর্ণচরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত ৬

আপডেট সময় ০৬:৪০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে পরাজিত সদস্য প্রার্থীর হামলায় বিজয়ী সদস্য প্রার্থীর ভাইসহ ছয়জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চরজুবলীর ফাঙ্কার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনটি অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।

এতে ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য প্রার্থী মনজুর আলমের বড় ভাই সালাউদ্দিন, মুরাদ, সোহেল, আলমগীর, হুমায়নসহ ছয়জন আহত হন। আহতদের সুবর্ণচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ইউপির বিজয়ী সদস্য প্রার্থী মনজুর আলম স্থানীয় বাজারে পরাজিত প্রার্থী মো. খলিল উল্যাহর সঙ্গে দেখা করে কোলাকুলি করে দুজন একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন। পরে মনজুর আলম অন্যত্র চলে যান। এরপর মনজুর আলম খলিলকে আটকে রেখেছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে খলিলের সমর্থকেরা দেশি অস্ত্র, লোহার রড নিয়ে মনজুর আলমের সমর্থকদের ওপর হামলা করেন।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পরাজিত প্রার্থী খলিল উল্যাহ বলেন, ‘নির্বাচনের পর ফল মেনে নিয়ে কর্মী-সমর্থককে নিজের বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছি। নিজেও বাড়িতে অবস্থান করেছি। আমার কোনো লোক কোনো ধরনের হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। আমি যত দূর জেনেছি, হামলার ঘটনা বিজয়ী প্রার্থীর লোকজনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে।’

বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী মনজুর আলমের বলেন, ফলাফল পাওয়ার পর তাঁর কর্মী-সমর্থকদের কোনো ধরনের বিজয় মিছিল কিংবা জড়ো হতে দেননি। তিনি বাজারে খলিল উল্যাহর সঙ্গে দেখা করে স্থানীয় একরামনগর বাজারে চলে যান। এরপর তিনি জানতে পারেন, তাঁর লোকজনকে খলিলের ছোট ভাই মাইন উদ্দিন ও ভাগনে ইউছুপের নেতৃত্বে দেলোয়ার, আশরাফসহ ১০ থেকে ১২ জন এলোপাতাড়ি মারধর করেন। তিনি ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, হামলার ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।

মনজুর আলম অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘প্রশাসনের কঠোর নজর দারিতে ভোট হয়েছে। ফলে পরাজিত প্রার্থী খলিল উল্যাহ কোনো সুবিধা করতে না পেরে রাতে ভোট না দেওয়ায় অনেক কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের মধ্যম ব্যাগ্যা গ্রামে আমার বড় ভাই সালাউদ্দিনকে একা পেয়ে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’