নোয়াখালী ০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষক হয়ে সমাজের সেবা করতে চান বাবাহারা শারমিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৭:৪১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে

শারমিন আক্তার স্মৃতি

বাবাকে হারিয়ে দরিদ্রতার চরম কষাঘাতেও দমে যাননি অদম্য মেধাবী শারমিন আক্তার স্মৃতি। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলে তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা এলাকার মৃত আবু ছায়েদের সংসারে কোনো ছেলে না থাকলেও চারবোনের মধ্যে দ্বিতীয় শারমিন। মামাদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নিজের একান্ত ইচ্ছার ফলেই এ কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জিত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। ছোট দুই বোনও অষ্টম ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। এখন পরিবারের দুশ্চিন্তা কীভাবে শারমিন উচ্চশিক্ষার পথে পা বাড়াবে। ফলাফল জানার পর সবাই যখন হাসছিলেন, শারমিন তখন অঝোরে কাঁদছিলেন। এর কারণ দরিদ্র পরিবারে থেকে সামনের দিনগুলো তিনি কীভাবে পাড়ি দেবেন? তার ইচ্ছা পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষক হয়ে পরিবার ও সমাজের মুখে হাসি ফোটাবেন।

জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজের প্রভাষক নিগাত আহসান বলেন, শারমিন আক্তারের মতো অদম্য মেধাবীদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের দাঁড়ানো উচিত। দরিদ্রতাকে পাশ কাটিয়ে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় আমার দেখা জ্বলন্ত উদাহরণ এই শারমিন। মেধাবী শারমিনের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষক হয়ে সমাজের সেবা করতে চান বাবাহারা শারমিন

আপডেট সময় ০৭:৪১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বাবাকে হারিয়ে দরিদ্রতার চরম কষাঘাতেও দমে যাননি অদম্য মেধাবী শারমিন আক্তার স্মৃতি। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলে তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা এলাকার মৃত আবু ছায়েদের সংসারে কোনো ছেলে না থাকলেও চারবোনের মধ্যে দ্বিতীয় শারমিন। মামাদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নিজের একান্ত ইচ্ছার ফলেই এ কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জিত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। ছোট দুই বোনও অষ্টম ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। এখন পরিবারের দুশ্চিন্তা কীভাবে শারমিন উচ্চশিক্ষার পথে পা বাড়াবে। ফলাফল জানার পর সবাই যখন হাসছিলেন, শারমিন তখন অঝোরে কাঁদছিলেন। এর কারণ দরিদ্র পরিবারে থেকে সামনের দিনগুলো তিনি কীভাবে পাড়ি দেবেন? তার ইচ্ছা পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষক হয়ে পরিবার ও সমাজের মুখে হাসি ফোটাবেন।

জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজের প্রভাষক নিগাত আহসান বলেন, শারমিন আক্তারের মতো অদম্য মেধাবীদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের দাঁড়ানো উচিত। দরিদ্রতাকে পাশ কাটিয়ে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় আমার দেখা জ্বলন্ত উদাহরণ এই শারমিন। মেধাবী শারমিনের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করি।