নোয়াখালী ১২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা

টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় ০৫:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সক্রিয়তায় অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে ক্যাম্পগুলোতে।

হত্যা, মাদক, অস্ত্র ব্যবসা, মানবপাচার, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজির একের পর এক অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে। দিনদিন সব অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের নাম।

এমন অপরাধ প্রবণতাকে দেশের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন অপরাধ বিজ্ঞানীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও অপরাধ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দ্রুত এ অপরাধ প্রবণতার রাশ টানতে না পারলে রোহিঙ্গারা দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

এদিকে রোহিঙ্গা পুরুষের পাশাপাশি নারী-শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে মাদক পাচারের ক্যারিয়ার হিসেবে। গ্রেফতার করলেও হোতাদের নাম বলতে পারছে না তারা। ফলে মূল চক্র থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, মাদক ব্যবসায় রোহিঙ্গা পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত রোহিঙ্গারা কম টাকায় ক্যারিয়ার হতে রাজি হয় এবং তারা গ্রেফতার হলেও মূল হোতাদের ঝুঁকি থাকে না। এ কারণে মাদক ক্যারিয়ার হিসেবে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধী চক্রের পদচারণা রয়েছে। গড়ে উঠেছে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ। এসব গ্রুপ ব্লকভিত্তিক অপরাধ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে।

নাম গোপন রাখার শর্তে টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক বাসিন্দা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অপরাধী চক্রগুলোকে দৈনিক এবং মাসিক হারে চাঁদা দিতে হয়। যাদের আধিপত্য বেশি, তাদের চাঁদার হারও বেশি। তাই ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায় সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তারা। সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর পাশাপাশি নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোও চাঁদা আদায় করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা

আপডেট সময় ০৫:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সক্রিয়তায় অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে ক্যাম্পগুলোতে।

হত্যা, মাদক, অস্ত্র ব্যবসা, মানবপাচার, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজির একের পর এক অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে। দিনদিন সব অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের নাম।

এমন অপরাধ প্রবণতাকে দেশের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন অপরাধ বিজ্ঞানীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও অপরাধ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দ্রুত এ অপরাধ প্রবণতার রাশ টানতে না পারলে রোহিঙ্গারা দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

এদিকে রোহিঙ্গা পুরুষের পাশাপাশি নারী-শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে মাদক পাচারের ক্যারিয়ার হিসেবে। গ্রেফতার করলেও হোতাদের নাম বলতে পারছে না তারা। ফলে মূল চক্র থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, মাদক ব্যবসায় রোহিঙ্গা পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত রোহিঙ্গারা কম টাকায় ক্যারিয়ার হতে রাজি হয় এবং তারা গ্রেফতার হলেও মূল হোতাদের ঝুঁকি থাকে না। এ কারণে মাদক ক্যারিয়ার হিসেবে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধী চক্রের পদচারণা রয়েছে। গড়ে উঠেছে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ। এসব গ্রুপ ব্লকভিত্তিক অপরাধ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে।

নাম গোপন রাখার শর্তে টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক বাসিন্দা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অপরাধী চক্রগুলোকে দৈনিক এবং মাসিক হারে চাঁদা দিতে হয়। যাদের আধিপত্য বেশি, তাদের চাঁদার হারও বেশি। তাই ক্যাম্পে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায় সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তারা। সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর পাশাপাশি নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোও চাঁদা আদায় করে।