নোয়াখালী ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুক লাইভ

মুছাপুর ভূমি অফিসে স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৫:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
  • / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীর পরিবর্তে স্বামীর অফিস করার বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। রোববার (২৫ জুন) এলাকায় গেলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই ফেসবুক লাইভে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, গত ২১ জুন (বুধবার) দুপুরে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেশ কিছু লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। তখন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিখি মজুমদারকে কর্মস্থলে না পেয়ে এবং একই অফিসে ওই কর্মকর্তার স্বামী ভবরঞ্জন মজুমদারকে পেয়ে ফেসবুক লাইভে বক্তব্য রাখেন। এতে তিনি স্ত্রীর পরিবর্তে স্বামী অফিস করছেন বলে প্রচার করেন।

চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী আরও দাবি করেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিখি মজুমদার নিয়মিত অফিস করেন না। তার পরিবর্তে স্বামী ভবরঞ্জন মজুমদার অফিস করেন। এটার কোনো নিয়ম নেই। যা পরে ভাইরাল হয়ে যায় এবং এ নিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমেও নিউজ প্রচার করেছে।

অভিযুক্ত লিখি মজুমদার বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুলবোঝাবুঝি। কারণ আমার অফিসের কাজ কখনো আমার স্বামী করতে পারেন না এবং করেনও না। আমি ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মুছাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকে একদিনও অফিসে অনুপস্থিত ছিলাম না। অনেক সময় আমার স্বামী আমাকে অফিসে আনা নেওয়া করেন। তাছাড়া জনগণের হয়রানি কমাতে কম্পিউটারে নাগরিক নিবন্ধনের ডাটাএন্ট্রিতে তার সহযোগিতা নেওয়া হয়।

তিনি আরও দাবি করেন, গত ২১ জুন সকালে আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মধ্যম মুছাপুর মৌজায় একটি তদন্তে যাই। পারিবারিক কথার প্রয়োজনে আমার স্বামী অফিসে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী আমার কক্ষে এসে আমাকে পাননি। পরে তিনি বিভিন্ন লোকের প্ররোচনায় আমাকে ভুল বুঝে ফেসবুক লাইভে কিছু কথা প্রচার করেন। যা আদৌ সত্য নয়। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মুছাপুর ভূমি অফিসে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ডাটাএন্ট্রির কাজ না পেয়ে ওই অফিসের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। অনেকে অবৈধভাবে নাগরিক নিবন্ধন করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করলে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা এতে জনগণকে নিরুৎসাহিত করে আসছেন। যার ফলে অতিউৎসাহী মহলটি ক্ষুব্ধ হয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীকে দিয়ে ওই লাইভ প্রচার করে ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে। যা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে।

মুছাপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহসীলদার) জয়নাল আবেদীন বলেন, সেদিন চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফেসবুক লাইভে আমাকেও অনেক প্রশ্ন করেছেন। উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিখি মজুমদার সিনিয়র অফিসারের নির্দেশে ওই সময় মাঠ তদন্তে ছিলেন। আর তার স্বামী অফিসে থাকায় বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য হয়। কিন্তু লিখি মজুমদার তো অনুপস্থিত ছিলেন না এবং স্বামীও তার অবর্তমানে কোনো কাজ করছিলেন না। বিষয়টি স্রেফ ভুলবোঝাবুঝি মাত্র।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেসবুক লাইভ

মুছাপুর ভূমি অফিসে স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৫:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীর পরিবর্তে স্বামীর অফিস করার বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। রোববার (২৫ জুন) এলাকায় গেলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই ফেসবুক লাইভে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, গত ২১ জুন (বুধবার) দুপুরে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেশ কিছু লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। তখন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিখি মজুমদারকে কর্মস্থলে না পেয়ে এবং একই অফিসে ওই কর্মকর্তার স্বামী ভবরঞ্জন মজুমদারকে পেয়ে ফেসবুক লাইভে বক্তব্য রাখেন। এতে তিনি স্ত্রীর পরিবর্তে স্বামী অফিস করছেন বলে প্রচার করেন।

চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী আরও দাবি করেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিখি মজুমদার নিয়মিত অফিস করেন না। তার পরিবর্তে স্বামী ভবরঞ্জন মজুমদার অফিস করেন। এটার কোনো নিয়ম নেই। যা পরে ভাইরাল হয়ে যায় এবং এ নিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমেও নিউজ প্রচার করেছে।

অভিযুক্ত লিখি মজুমদার বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুলবোঝাবুঝি। কারণ আমার অফিসের কাজ কখনো আমার স্বামী করতে পারেন না এবং করেনও না। আমি ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মুছাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকে একদিনও অফিসে অনুপস্থিত ছিলাম না। অনেক সময় আমার স্বামী আমাকে অফিসে আনা নেওয়া করেন। তাছাড়া জনগণের হয়রানি কমাতে কম্পিউটারে নাগরিক নিবন্ধনের ডাটাএন্ট্রিতে তার সহযোগিতা নেওয়া হয়।

তিনি আরও দাবি করেন, গত ২১ জুন সকালে আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মধ্যম মুছাপুর মৌজায় একটি তদন্তে যাই। পারিবারিক কথার প্রয়োজনে আমার স্বামী অফিসে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী আমার কক্ষে এসে আমাকে পাননি। পরে তিনি বিভিন্ন লোকের প্ররোচনায় আমাকে ভুল বুঝে ফেসবুক লাইভে কিছু কথা প্রচার করেন। যা আদৌ সত্য নয়। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মুছাপুর ভূমি অফিসে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ডাটাএন্ট্রির কাজ না পেয়ে ওই অফিসের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। অনেকে অবৈধভাবে নাগরিক নিবন্ধন করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করলে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা এতে জনগণকে নিরুৎসাহিত করে আসছেন। যার ফলে অতিউৎসাহী মহলটি ক্ষুব্ধ হয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীকে দিয়ে ওই লাইভ প্রচার করে ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে। যা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে।

মুছাপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহসীলদার) জয়নাল আবেদীন বলেন, সেদিন চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফেসবুক লাইভে আমাকেও অনেক প্রশ্ন করেছেন। উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিখি মজুমদার সিনিয়র অফিসারের নির্দেশে ওই সময় মাঠ তদন্তে ছিলেন। আর তার স্বামী অফিসে থাকায় বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য হয়। কিন্তু লিখি মজুমদার তো অনুপস্থিত ছিলেন না এবং স্বামীও তার অবর্তমানে কোনো কাজ করছিলেন না। বিষয়টি স্রেফ ভুলবোঝাবুঝি মাত্র।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।