নোয়াখালী ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মওদুদের স্মরণসভায় স্থানীয় বিএনপি নেতারা অনুপস্থিত!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৭:৫২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৪১২ বার পড়া হয়েছে

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আয়োজিত স্মরণসভায় যাননি জেলা ও উপজেলা বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোনো নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মওদুদ আহমদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মানিকপুরের গ্রামের বাড়িতে এ সভার আয়েজন করেন স্ত্রী বেগম হাসনা জসীমউদ্দিন মওদুদ।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মো. ফখরুল ইসলামকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেননি হাসনা মওদুদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ জেলা-উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি। এতে অনেকে নেতার প্রতি সম্মান জানাতে না পেরে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।

হাসনা জসীমউদ্দিন মওদুদ আয়োজিত স্মরণসভা।

এ ব্যাপারে হাসনা জসীমউদ্দিন মওদুদ বলেন, ‘ফখরুলকে দাওয়াত দিতে বিএনপির অনেক হাই-লেভেল থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছে। কিন্তু যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তাকে কেন দাওয়াত দেব। সে একসময় আমাকে ও মওদুদ আহমদকে অপমান করেছে। আর এটা কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। শুনেছি তারা আলাদা অনুষ্ঠান করেছে। আমার অনুষ্ঠানে দলের সভাপতি এবং একজন অতিথিকে তারা আসতে দেয়নি।’

পরে হাসনা মওদুদ আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফোরকান-ই-আলম প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্মরণসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান না আসায় জেলা-উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সম্পাদকসহ স্থানীয়দের অনেকে অনুষ্ঠানে যাননি। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির পক্ষ থেকে আলাদা শোক সভা ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন বলেন, মওদুদ আহমদ আমাদের সবার নেতা ছিলেন। কিন্তু গুটি কয়েক ব্যক্তি তাঁকে এক গোত্রীয় মনে করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নেতার মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমাদেরকে সম্পৃক্ত না করায় আমরা পৌরসভা বিএনপি এবং উপজেলার আট ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা আলাদা মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করেছি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত মিলাদ মাহফিল।

এদিকে অনুষ্ঠানে না আসার কারণ জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার কোনো সদুত্তর না দিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরে কয়েকবার ফোন দিকেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, মওদুদ আহমদের জন্য আমরা জেলা বিএনপির পক্ষে দলীয়ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো। শুনেছি বেগম হাসনা মওদুদ সমন্বয় না করায় সেখানে দলের নেতাকর্মীরা আলাদা মিলাদের আয়োজন করেছে। সুপ্রীম কোর্টের নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় আমরা স্মরণসভায় যেতে পারিনি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, কোম্পানীগঞ্জ বিএনপিতে কিছুটা মতানৈক্য রয়েছে। আমার শরীর খারাপ থাকায় মওদুদ আহমদের স্মরণসভায় যোগ দিতে পারিনি। তবে বেগম হাসনা মওদুদ দলের ব্যানারে স্মরণসভার আয়োজন করলেও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সমম্বয় না করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

মওদুদের স্মরণসভায় স্থানীয় বিএনপি নেতারা অনুপস্থিত!

আপডেট সময় ০৭:৫২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আয়োজিত স্মরণসভায় যাননি জেলা ও উপজেলা বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোনো নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মওদুদ আহমদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মানিকপুরের গ্রামের বাড়িতে এ সভার আয়েজন করেন স্ত্রী বেগম হাসনা জসীমউদ্দিন মওদুদ।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মো. ফখরুল ইসলামকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেননি হাসনা মওদুদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ জেলা-উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি। এতে অনেকে নেতার প্রতি সম্মান জানাতে না পেরে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।

হাসনা জসীমউদ্দিন মওদুদ আয়োজিত স্মরণসভা।

এ ব্যাপারে হাসনা জসীমউদ্দিন মওদুদ বলেন, ‘ফখরুলকে দাওয়াত দিতে বিএনপির অনেক হাই-লেভেল থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছে। কিন্তু যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তাকে কেন দাওয়াত দেব। সে একসময় আমাকে ও মওদুদ আহমদকে অপমান করেছে। আর এটা কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। শুনেছি তারা আলাদা অনুষ্ঠান করেছে। আমার অনুষ্ঠানে দলের সভাপতি এবং একজন অতিথিকে তারা আসতে দেয়নি।’

পরে হাসনা মওদুদ আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফোরকান-ই-আলম প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্মরণসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান না আসায় জেলা-উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সম্পাদকসহ স্থানীয়দের অনেকে অনুষ্ঠানে যাননি। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির পক্ষ থেকে আলাদা শোক সভা ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন বলেন, মওদুদ আহমদ আমাদের সবার নেতা ছিলেন। কিন্তু গুটি কয়েক ব্যক্তি তাঁকে এক গোত্রীয় মনে করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নেতার মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমাদেরকে সম্পৃক্ত না করায় আমরা পৌরসভা বিএনপি এবং উপজেলার আট ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা আলাদা মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করেছি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত মিলাদ মাহফিল।

এদিকে অনুষ্ঠানে না আসার কারণ জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার কোনো সদুত্তর না দিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরে কয়েকবার ফোন দিকেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, মওদুদ আহমদের জন্য আমরা জেলা বিএনপির পক্ষে দলীয়ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো। শুনেছি বেগম হাসনা মওদুদ সমন্বয় না করায় সেখানে দলের নেতাকর্মীরা আলাদা মিলাদের আয়োজন করেছে। সুপ্রীম কোর্টের নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় আমরা স্মরণসভায় যেতে পারিনি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, কোম্পানীগঞ্জ বিএনপিতে কিছুটা মতানৈক্য রয়েছে। আমার শরীর খারাপ থাকায় মওদুদ আহমদের স্মরণসভায় যোগ দিতে পারিনি। তবে বেগম হাসনা মওদুদ দলের ব্যানারে স্মরণসভার আয়োজন করলেও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সমম্বয় না করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।