নোয়াখালী ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে তসলিমা নাসরিন ‘মৃত’

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৫০০ বার পড়া হয়েছে

ফেসবুকে তসলিমা নাসরিন ‘মৃত’

ফেসবুকে নিজেকে ‘মৃত’ দেখে বেজায় চটেছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে তার আইডি ‘রিমেম্বারিং’ দেখাচ্ছে, যা কেবল মৃতদের ক্ষেত্রেই দেখানো হয়। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের আইডি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তসলিমা।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) একাধিক টুইটে ফেসবুকের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন তসলিমা নাসরিন। এক টুইটে তিনি বলেছেন, ফেসবুক আমাকে মেরে ফেলেছে। অথচ আমি জীবিত। আমি অসুস্থ হইনি, বিছানায় পড়িনি অথবা হাসপাতালেও ভর্তি হইনি, তবু ফেসবুক আমার অ্যাকাউন্ট ‘স্মরণীয়’ করে দিয়েছে।

এরপর ফেসবুক আইডির ছবি দিয়ে আরেক টুইটে এ লেখিকা বলেন, আমি পুরোপুরি জীবিত। কিন্তু আপনারা আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্মরণীয় করে দিয়েছেন। খুবই খারাপ খবর! আপনারা এটা কীভাবে করতে পারলেন? দয়া করে আমার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেন।

এ ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই নিজের ‘মৃত্যু সংবাদ’ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তসলিমা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পোস্টের কারণেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কিছু ‘ভুয়া রিপোর্ট’-এর ভিত্তিতে অ্যাকাউন্টে তসলিমা নাসরিনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে।

পোস্টটিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে, আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক। প্রচার হোক, কিছু মানুষও যেন প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে।

অনেকে কবর হোক চান, পুড়ে যাক চান, কেউ কেউ চান তাদের শরীর পোড়া ছাই প্রিয় কোনও জায়গায় যেন ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কেউ কেউ আশা করেন তাদের দেহ মমি করে রাখা হোক। কেউ আবার বরফে ডুবিয়ে রাখতে চান, যদি ভবিষ্যতে প্রাণ দেওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার হয়!

অসুখ-বিসুখে আমি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করি এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত করবো। কোনও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে আমার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই, ঠিক যেমন বিশ্বাস নেই কোনও কুসংস্কারে। জীবনের একটি মুহূর্তেরও মূল্য অনেক। তাই কোনও মুহূর্তই হেলায় হারাতে চাই না। মরার পর আমরা কিন্তু কোথাও যাই না। পরকাল বলে কিছু নেই। পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই। মৃত্যুতেই জীবনের সমাপ্তি। আমার জীবন আমি সারাজীবন অর্থপূর্ণ করতে চেয়েছি। মৃত্যুটাও চাই অর্থপূর্ণ হোক।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেসবুকে তসলিমা নাসরিন ‘মৃত’

আপডেট সময় ০৩:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

ফেসবুকে নিজেকে ‘মৃত’ দেখে বেজায় চটেছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে তার আইডি ‘রিমেম্বারিং’ দেখাচ্ছে, যা কেবল মৃতদের ক্ষেত্রেই দেখানো হয়। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের আইডি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তসলিমা।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) একাধিক টুইটে ফেসবুকের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন তসলিমা নাসরিন। এক টুইটে তিনি বলেছেন, ফেসবুক আমাকে মেরে ফেলেছে। অথচ আমি জীবিত। আমি অসুস্থ হইনি, বিছানায় পড়িনি অথবা হাসপাতালেও ভর্তি হইনি, তবু ফেসবুক আমার অ্যাকাউন্ট ‘স্মরণীয়’ করে দিয়েছে।

এরপর ফেসবুক আইডির ছবি দিয়ে আরেক টুইটে এ লেখিকা বলেন, আমি পুরোপুরি জীবিত। কিন্তু আপনারা আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্মরণীয় করে দিয়েছেন। খুবই খারাপ খবর! আপনারা এটা কীভাবে করতে পারলেন? দয়া করে আমার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেন।

এ ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই নিজের ‘মৃত্যু সংবাদ’ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তসলিমা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পোস্টের কারণেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কিছু ‘ভুয়া রিপোর্ট’-এর ভিত্তিতে অ্যাকাউন্টে তসলিমা নাসরিনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে।

পোস্টটিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে, আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক। প্রচার হোক, কিছু মানুষও যেন প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে।

অনেকে কবর হোক চান, পুড়ে যাক চান, কেউ কেউ চান তাদের শরীর পোড়া ছাই প্রিয় কোনও জায়গায় যেন ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কেউ কেউ আশা করেন তাদের দেহ মমি করে রাখা হোক। কেউ আবার বরফে ডুবিয়ে রাখতে চান, যদি ভবিষ্যতে প্রাণ দেওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার হয়!

অসুখ-বিসুখে আমি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করি এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত করবো। কোনও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে আমার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই, ঠিক যেমন বিশ্বাস নেই কোনও কুসংস্কারে। জীবনের একটি মুহূর্তেরও মূল্য অনেক। তাই কোনও মুহূর্তই হেলায় হারাতে চাই না। মরার পর আমরা কিন্তু কোথাও যাই না। পরকাল বলে কিছু নেই। পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই। মৃত্যুতেই জীবনের সমাপ্তি। আমার জীবন আমি সারাজীবন অর্থপূর্ণ করতে চেয়েছি। মৃত্যুটাও চাই অর্থপূর্ণ হোক।’