নোয়াখালী ০২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ জানুয়ারি ভোট

নোয়াখালী-২ আসনে কাঁচিতে ধার উঠেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০১:৫৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩০৪ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের কাঁচি মার্কার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিনের দান-অনুদান এবং বিগত ১০ বছরের চাওয়া-পাওয়ার অপূর্ণতা থেকে এমন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক এমপি না হয়েও বিগত দিনে যে পরিমান সাহায্য সহযোগিতা এলাকার মানুষকে করেছেন তা অকল্পনীয়। এখন যদি কাঁচি মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে এমপি বানানো যায় তবে এলাকার মানুষ আরও বেশ সহযোগিতা পাবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি ও তমা কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে মানিকের কাঁচি মার্কার পক্ষে ভোটারদের গণজোয়ার দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী তার পক্ষে মাঠে নেমেছেন।

এদিকে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু জাফর টিপু এবং সাবেক ছাত্রনেতা শিহাব উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের পক্ষে কাঁচি মার্কার ভোট করছেন।

সেনবাগ বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রহমান বলেন, অতীতের এমপিরা আমাদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করেছেন। সুখেদুখে তাদের কাছে পায়নি এলাকার জনগন। সেই অর্থে আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক শত ব্যস্ততায়ও এলাকায় সময় দিয়েছেন। এজন্য এবার বেশির ভাগ ভোটার তার কাঁচি মার্কার পক্ষে।

আবদুর রশিদ নামে অশীতিপর এক বৃদ্ধ বলেন, কন্যা দায়গ্রস্ত পিতার গরীব মেয়ের বিয়ে, ছেলের খৎনা, জানাযা, কুলখানি সকল অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এলাকার মানুষের নজর কেড়েছেন আতাউর রহমান মানিক। তারমধ্যে কোনো অহংকার নাই। কে গরীব কে বড়লোক তার ভেদাভেদ তিনি করেন না। ছোটবড় আবাল বৃদ্ধ-বনিতা সবার কাছে তিনি ভাই হিসেবে পরিচিত। তাকেই এবার এমপি ভোট দেবো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এমপি মোরশেদ সাহেব ভালো মানুষ। কিন্তু উনার দেওয়া বরাদ্দ উনার আশপাশের লোকজনকে দিয়েও শেষ করা যায় না। সাধারণ মানুষ পর্যন্ত পৌঁছানোর সুযোগ থাকে না। উনার পক্ষে যারা ভোট করছেন তার এতোদিন এলাকায় ছিলেন না। মানুষ কিসে খুশি হয় আর কিসে কষ্ট পায় তা তারা বোঝেন না। এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের সঙ্গে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। তিনি বেঙ্গল গ্রুপ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে তিনি এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

৭ জানুয়ারি ভোট

নোয়াখালী-২ আসনে কাঁচিতে ধার উঠেছে

আপডেট সময় ০১:৫৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের কাঁচি মার্কার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিনের দান-অনুদান এবং বিগত ১০ বছরের চাওয়া-পাওয়ার অপূর্ণতা থেকে এমন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক এমপি না হয়েও বিগত দিনে যে পরিমান সাহায্য সহযোগিতা এলাকার মানুষকে করেছেন তা অকল্পনীয়। এখন যদি কাঁচি মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে এমপি বানানো যায় তবে এলাকার মানুষ আরও বেশ সহযোগিতা পাবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি ও তমা কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে মানিকের কাঁচি মার্কার পক্ষে ভোটারদের গণজোয়ার দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী তার পক্ষে মাঠে নেমেছেন।

এদিকে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু জাফর টিপু এবং সাবেক ছাত্রনেতা শিহাব উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের পক্ষে কাঁচি মার্কার ভোট করছেন।

সেনবাগ বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রহমান বলেন, অতীতের এমপিরা আমাদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করেছেন। সুখেদুখে তাদের কাছে পায়নি এলাকার জনগন। সেই অর্থে আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক শত ব্যস্ততায়ও এলাকায় সময় দিয়েছেন। এজন্য এবার বেশির ভাগ ভোটার তার কাঁচি মার্কার পক্ষে।

আবদুর রশিদ নামে অশীতিপর এক বৃদ্ধ বলেন, কন্যা দায়গ্রস্ত পিতার গরীব মেয়ের বিয়ে, ছেলের খৎনা, জানাযা, কুলখানি সকল অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এলাকার মানুষের নজর কেড়েছেন আতাউর রহমান মানিক। তারমধ্যে কোনো অহংকার নাই। কে গরীব কে বড়লোক তার ভেদাভেদ তিনি করেন না। ছোটবড় আবাল বৃদ্ধ-বনিতা সবার কাছে তিনি ভাই হিসেবে পরিচিত। তাকেই এবার এমপি ভোট দেবো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এমপি মোরশেদ সাহেব ভালো মানুষ। কিন্তু উনার দেওয়া বরাদ্দ উনার আশপাশের লোকজনকে দিয়েও শেষ করা যায় না। সাধারণ মানুষ পর্যন্ত পৌঁছানোর সুযোগ থাকে না। উনার পক্ষে যারা ভোট করছেন তার এতোদিন এলাকায় ছিলেন না। মানুষ কিসে খুশি হয় আর কিসে কষ্ট পায় তা তারা বোঝেন না। এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের সঙ্গে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। তিনি বেঙ্গল গ্রুপ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে তিনি এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।