নোয়াখালী ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অচলাবস্থার অবসান

নোয়াখালী স্বাচিপে ডা. রোমেল-ফরায়েজীর নেতৃত্ব বহাল

ইকবাল হোসেন মজনু
  • আপডেট সময় ০৩:০৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৯৭ বার পড়া হয়েছে

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নোয়াখালীর আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ বাতিল করেছেন নোয়াখালী জেলা জজ আদালত।

স্বাচিপ নোয়াখালীর আহবায়ক ডা. এফ এম শাহাদাৎ হোসেন রোমেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২১ জানুয়ারি নোয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক রুপন কুমার দাস স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নোয়াখালীর আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ বাতিলের রায় প্রদান করেন। একই আদালত ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর স্বাচিপ নোয়াখালী জেলা শাখার প্রাক্তন সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খানের করা মামলার প্রেক্ষিতে আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমের উপর ২০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ প্রদান করেছিলেন।

স্বাচিপের নোয়াখালী আহ্বায়ক কমিটি সূত্র জানায়, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ নোয়াখালী জেলা শাখার কার্যকরী কমিটি ২০১৭ সালে স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে গঠিত হয়। স্বাচিপের গঠনতন্ত্রে জেলা কমিটির মেয়াদ ৩ বছর। সে হিসেবে ২০২০ সালে স্বাচিপ নোয়াখালী জেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এ কারণে স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন নোয়াখালী জেলা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর ডা. এফ এম শাহাদাৎ হোসেন রোমেলকে আহবায়ক এবং ডা. আব্দুস সাত্তার ফরায়েজীকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন এবং তাদেরকে যথাশীঘ্রই সম্মেলন আয়োজন করে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করেন।

স্বাচিপ নেতারা আরো জানান, ওই আহবায়ক কমিটির বিরোধীতা করে সাবেক সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খান ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর নোয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-মহাসচিব এবং আহবায়ক কমিটির ১৫ সদস্যকে বিবাদী করে একটি মামলা রুজু করেন এবং কমিটির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর মামলার শুনানির দিনে মামলার প্রধান বিবাদীগণের অজান্তে আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ডা. মো. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগসাজশে বাদী আদালতে ভুল তথ্য প্রদান করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বাচিপ আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমে গত ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। উল্লেখ্য ডা. মো. মাহবুবুর রহমান স্বাচিপ নোয়াখালীর বিগত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

স্থগিতাদেশের সময় শেষ হবার পর গত ২১ জানুয়ারি আহবায়ক কমিটির পক্ষে আদালতে স্থগিতাদেশ বাতিলের আবেদন করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবিগন আদালতে দীর্ঘক্ষণ যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিচারক স্বাচিপের গঠনতন্ত্র ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ বাতিল করে রায় প্রদান করেন।

আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে স্বাচিপ নোয়াখালীর অচলাবস্থার অবসান হয়ে আহবায়ক কমিটির রোমেল-ফরায়েজীর নেতৃত্ব বহাল রয়েছে। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন স্বাচিপ নোয়াখালীর আহবায়ক ডা. এফ এম শাহাদাৎ হোসেন রোমেল ও সদস্য সচিব ডা. আব্দুস সাত্তার ফরায়েজী।

নিউজটি শেয়ার করুন

অচলাবস্থার অবসান

নোয়াখালী স্বাচিপে ডা. রোমেল-ফরায়েজীর নেতৃত্ব বহাল

আপডেট সময় ০৩:০৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নোয়াখালীর আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ বাতিল করেছেন নোয়াখালী জেলা জজ আদালত।

স্বাচিপ নোয়াখালীর আহবায়ক ডা. এফ এম শাহাদাৎ হোসেন রোমেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২১ জানুয়ারি নোয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক রুপন কুমার দাস স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নোয়াখালীর আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ বাতিলের রায় প্রদান করেন। একই আদালত ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর স্বাচিপ নোয়াখালী জেলা শাখার প্রাক্তন সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খানের করা মামলার প্রেক্ষিতে আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমের উপর ২০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ প্রদান করেছিলেন।

স্বাচিপের নোয়াখালী আহ্বায়ক কমিটি সূত্র জানায়, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ নোয়াখালী জেলা শাখার কার্যকরী কমিটি ২০১৭ সালে স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে গঠিত হয়। স্বাচিপের গঠনতন্ত্রে জেলা কমিটির মেয়াদ ৩ বছর। সে হিসেবে ২০২০ সালে স্বাচিপ নোয়াখালী জেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এ কারণে স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন নোয়াখালী জেলা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর ডা. এফ এম শাহাদাৎ হোসেন রোমেলকে আহবায়ক এবং ডা. আব্দুস সাত্তার ফরায়েজীকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন এবং তাদেরকে যথাশীঘ্রই সম্মেলন আয়োজন করে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করেন।

স্বাচিপ নেতারা আরো জানান, ওই আহবায়ক কমিটির বিরোধীতা করে সাবেক সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খান ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর নোয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-মহাসচিব এবং আহবায়ক কমিটির ১৫ সদস্যকে বিবাদী করে একটি মামলা রুজু করেন এবং কমিটির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর মামলার শুনানির দিনে মামলার প্রধান বিবাদীগণের অজান্তে আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ডা. মো. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগসাজশে বাদী আদালতে ভুল তথ্য প্রদান করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বাচিপ আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমে গত ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। উল্লেখ্য ডা. মো. মাহবুবুর রহমান স্বাচিপ নোয়াখালীর বিগত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

স্থগিতাদেশের সময় শেষ হবার পর গত ২১ জানুয়ারি আহবায়ক কমিটির পক্ষে আদালতে স্থগিতাদেশ বাতিলের আবেদন করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবিগন আদালতে দীর্ঘক্ষণ যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিচারক স্বাচিপের গঠনতন্ত্র ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ বাতিল করে রায় প্রদান করেন।

আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে স্বাচিপ নোয়াখালীর অচলাবস্থার অবসান হয়ে আহবায়ক কমিটির রোমেল-ফরায়েজীর নেতৃত্ব বহাল রয়েছে। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন স্বাচিপ নোয়াখালীর আহবায়ক ডা. এফ এম শাহাদাৎ হোসেন রোমেল ও সদস্য সচিব ডা. আব্দুস সাত্তার ফরায়েজী।