নোয়াখালী ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদকের মামলায় দলিল লেখক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৪:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীতে জালিয়াতির মামলায় মো. জামাল উদ্দিন নামের এক দলিল লেখককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার কেজিস্কুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

গ্রেফতার জামাল উদ্দিন সদর উপজেলার উত্তর ওয়াপদা বাজার সংলগ্ন পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামের হাজি আব্দুল মান্নানের ছেলে। দুদকে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ। এতে জামাল হোসেন এজাহারনামীয় চার নম্বর আসামি। মামলার অন্য আসামিরা হলেন সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরজব্বরের চররশিদ গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো. শাহজাহান, সদর উপজেলার পাক কিশোরগঞ্জ জালিয়াল এলাকার সেকান্দার মিয়ার ছেলে শরিফ উল্যাহ ও একই এলাকার ছায়েদল হকের ছেলে সেকান্দার মিয়া।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আবদুল্লাহ মিয়ারহাট বাজারের মেসার্স জননী ট্রেডার্সের মালিক শাহাজাহান ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর উত্তরা ব্যাংক সোনাপুর শাখায় ৪৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ জমি বন্ধক রেখে ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর পুনরায় ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ জমিতে নির্মিত একতলা বাড়িসহ বন্ধক রেখে আরও ২০ লাখ টাকা ঋণ নেন।

দ্বিতীয়বার ঋণ নেওয়ার সময় ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি ৩৩৬ নম্বর বন্ধকি দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। দলিলটি রেজিস্ট্রি করেন জামাল উদ্দিন। এর আগের দিন জালিয়াতির উদ্দেশ্যে একই সম্পত্তি ২৮৬ নম্বর দলিলে আসামি মো. শরীফ উল্যাহর কাছে হস্তান্তর করেন শাহজাহান। ওই দলিলে এক হাজার ৪৪০ বর্গফুটের একতলা ভবনের বিষয়টি গোপন করে সরকারের এক লাখ ১২ হাজার ৩২০ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুদকের মামলায় দলিল লেখক কারাগারে

আপডেট সময় ০৪:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

নোয়াখালীতে জালিয়াতির মামলায় মো. জামাল উদ্দিন নামের এক দলিল লেখককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার কেজিস্কুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

গ্রেফতার জামাল উদ্দিন সদর উপজেলার উত্তর ওয়াপদা বাজার সংলগ্ন পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামের হাজি আব্দুল মান্নানের ছেলে। দুদকে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ। এতে জামাল হোসেন এজাহারনামীয় চার নম্বর আসামি। মামলার অন্য আসামিরা হলেন সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরজব্বরের চররশিদ গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো. শাহজাহান, সদর উপজেলার পাক কিশোরগঞ্জ জালিয়াল এলাকার সেকান্দার মিয়ার ছেলে শরিফ উল্যাহ ও একই এলাকার ছায়েদল হকের ছেলে সেকান্দার মিয়া।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আবদুল্লাহ মিয়ারহাট বাজারের মেসার্স জননী ট্রেডার্সের মালিক শাহাজাহান ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর উত্তরা ব্যাংক সোনাপুর শাখায় ৪৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ জমি বন্ধক রেখে ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর পুনরায় ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ জমিতে নির্মিত একতলা বাড়িসহ বন্ধক রেখে আরও ২০ লাখ টাকা ঋণ নেন।

দ্বিতীয়বার ঋণ নেওয়ার সময় ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি ৩৩৬ নম্বর বন্ধকি দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। দলিলটি রেজিস্ট্রি করেন জামাল উদ্দিন। এর আগের দিন জালিয়াতির উদ্দেশ্যে একই সম্পত্তি ২৮৬ নম্বর দলিলে আসামি মো. শরীফ উল্যাহর কাছে হস্তান্তর করেন শাহজাহান। ওই দলিলে এক হাজার ৪৪০ বর্গফুটের একতলা ভবনের বিষয়টি গোপন করে সরকারের এক লাখ ১২ হাজার ৩২০ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ।