নোয়াখালী ০৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দাবি

‘জুতাপেটার ঘটনায় মিথ্যা মামলা করেছেন এমপি মোরশেদ’

ইকবাল হোসেন মজনু
  • আপডেট সময় ০৭:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩২২ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমকে প্রকাশ্যে মঞ্চে জুতাপেটার ঘটনায় নিরাপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যাচেষ্টা মামলার করেছেন বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক। তিনি বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সেনবাগের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন।

আতাউর রহামন মানিক বলেন, আমার কাঁচি মার্কার জোয়ার দেখে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম অস্থির হয়ে গেছেন। কারণ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী আমার সঙ্গে কাঁচি মার্কার ভোট করছেন। এসব দেখে আমার ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম।

তিনি আরও বলেন, গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নৌকার প্রার্থীর হেলমেট বাহিনীর প্রধান সৌরভ হোসেন সুমনের নেতৃত্বে আমার সমর্থক ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বাড়িতে হামলা গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় ৬৬ জনের নামে মামলা দিলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে কাউকে আটক করেনি। এতে সন্ত্রাসী কিশোরগ্যাং সদস্যদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে গেছে। এরা ভোটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

আতাউর রহমান মানিক বলেন, গত সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নৌকার মঞ্চে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তি সংসদ সদস্যকে জুতা নিয়ে আক্রমণ করে। শুনেছি ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। তবে এ ঘটনাকে পূঁজি করে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আমার ছোটভাইসহ ১১ জন কর্মীকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি জানাই।

তিনি বলেন, ভোটারদের থেকে বিমুখ হয়ে নৌকার প্রার্থী এখন দেউলিয়া হয়ে গেছেন। তারা মিথ্যা মামলা, সন্ত্রাসী দিয়ে আক্রমণ ও গুলি-বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন। তবে ভোটের দিন কাউকে কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান করলে এর পরিণতি ভালো হবে না বলেও উল্লেখ করেন এ স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোর দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সেনবাগ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র আবু জাফর টিপুসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে অভিযোগের বিষয়য়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম বলেন, আমাকে হত্যার জন্য পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। তাই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কারা দায়ী তা পুলিশ খুঁজে বের করবে। মিথ্যা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মিথ্যা মামলা করিনি। বরং বিএনপি সমর্থিত এক চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার কথা বলে আমার ৬৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তবে সোমবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যাতে দেখা যায়, নেতাদের বক্তব্যের মাঝখানে এক ব্যক্তি মঞ্চে বসা নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে জুতা দিয়ে পেটান। তিনি হাত দিয়ে তা ফেরান। এরআগে ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের দমদমা বাজারে নৌকা প্রতীকের পথসভার মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নোয়াখালী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দাবি

‘জুতাপেটার ঘটনায় মিথ্যা মামলা করেছেন এমপি মোরশেদ’

আপডেট সময় ০৭:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমকে প্রকাশ্যে মঞ্চে জুতাপেটার ঘটনায় নিরাপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যাচেষ্টা মামলার করেছেন বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক। তিনি বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সেনবাগের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন।

আতাউর রহামন মানিক বলেন, আমার কাঁচি মার্কার জোয়ার দেখে নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম অস্থির হয়ে গেছেন। কারণ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী আমার সঙ্গে কাঁচি মার্কার ভোট করছেন। এসব দেখে আমার ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম।

তিনি আরও বলেন, গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নৌকার প্রার্থীর হেলমেট বাহিনীর প্রধান সৌরভ হোসেন সুমনের নেতৃত্বে আমার সমর্থক ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বাড়িতে হামলা গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় ৬৬ জনের নামে মামলা দিলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে কাউকে আটক করেনি। এতে সন্ত্রাসী কিশোরগ্যাং সদস্যদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে গেছে। এরা ভোটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

আতাউর রহমান মানিক বলেন, গত সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নৌকার মঞ্চে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তি সংসদ সদস্যকে জুতা নিয়ে আক্রমণ করে। শুনেছি ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। তবে এ ঘটনাকে পূঁজি করে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আমার ছোটভাইসহ ১১ জন কর্মীকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি জানাই।

তিনি বলেন, ভোটারদের থেকে বিমুখ হয়ে নৌকার প্রার্থী এখন দেউলিয়া হয়ে গেছেন। তারা মিথ্যা মামলা, সন্ত্রাসী দিয়ে আক্রমণ ও গুলি-বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন। তবে ভোটের দিন কাউকে কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান করলে এর পরিণতি ভালো হবে না বলেও উল্লেখ করেন এ স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোর দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সেনবাগ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র আবু জাফর টিপুসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে অভিযোগের বিষয়য়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম বলেন, আমাকে হত্যার জন্য পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। তাই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কারা দায়ী তা পুলিশ খুঁজে বের করবে। মিথ্যা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মিথ্যা মামলা করিনি। বরং বিএনপি সমর্থিত এক চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার কথা বলে আমার ৬৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তবে সোমবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যাতে দেখা যায়, নেতাদের বক্তব্যের মাঝখানে এক ব্যক্তি মঞ্চে বসা নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে জুতা দিয়ে পেটান। তিনি হাত দিয়ে তা ফেরান। এরআগে ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের দমদমা বাজারে নৌকা প্রতীকের পথসভার মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।