নোয়াখালী ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাটখিলে সম্পত্তির দাবিতে বাবার মরদেহ দাফনে সন্তানদের বাধা

চাটখিল সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় ০১:৪২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
  • / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর চাটখিলে আবদুল মন্নান (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পর মরদেহ একদিন পড়েছিল বাড়ি উঠানে। সম্পত্তি ভাগের দাবিতে সন্তানদের বাধায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বানসা গ্রামের পশ্চিম হাজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় গ্রামবাসীরা এসে ২২ ঘণ্টা পর মরদেহ দাফন করেন।

৫ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের সমাজটা দিন দিন অবক্ষয়ের দিকেই যাচ্ছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আগে কখনো দেখিনি।

তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে বৃদ্ধ আবদুল মন্নান তার ছোট ছেলে আবুল কালামের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও তার সন্তানদের নামে ৩৯ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। এ নিয়ে আবদুল মন্নানের অন্য দুই ছেলে ও দুই মেয়ের সঙ্গে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়।

চেয়ারম্যান জানান, সোমবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে বাধ্যর্কজনিত কারণে বৃদ্ধ আবদুল মন্নানের মৃত্যু হলে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিরা তার মরদেহ দাফনে বাধা দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় মরহুমের জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

মরদেহ দাফনে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে জাহানারা বেগমের ভাই আরমান পাপ্পু বলেন, কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে একদিন পর মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এনিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাহালুল চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে যেভাবে সুন্দর হয় সেভাবে মরহুম আবদুল মন্নানের সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চাটখিলে সম্পত্তির দাবিতে বাবার মরদেহ দাফনে সন্তানদের বাধা

আপডেট সময় ০১:৪২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

নোয়াখালীর চাটখিলে আবদুল মন্নান (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পর মরদেহ একদিন পড়েছিল বাড়ি উঠানে। সম্পত্তি ভাগের দাবিতে সন্তানদের বাধায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বানসা গ্রামের পশ্চিম হাজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় গ্রামবাসীরা এসে ২২ ঘণ্টা পর মরদেহ দাফন করেন।

৫ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের সমাজটা দিন দিন অবক্ষয়ের দিকেই যাচ্ছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আগে কখনো দেখিনি।

তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে বৃদ্ধ আবদুল মন্নান তার ছোট ছেলে আবুল কালামের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও তার সন্তানদের নামে ৩৯ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। এ নিয়ে আবদুল মন্নানের অন্য দুই ছেলে ও দুই মেয়ের সঙ্গে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়।

চেয়ারম্যান জানান, সোমবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে বাধ্যর্কজনিত কারণে বৃদ্ধ আবদুল মন্নানের মৃত্যু হলে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিরা তার মরদেহ দাফনে বাধা দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় মরহুমের জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

মরদেহ দাফনে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে জাহানারা বেগমের ভাই আরমান পাপ্পু বলেন, কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে একদিন পর মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এনিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাহালুল চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে যেভাবে সুন্দর হয় সেভাবে মরহুম আবদুল মন্নানের সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা করা হবে।