নোয়াখালী ০১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গভীর রাতে কম্বল নিয়ে রেলস্টেশনে সিআইপি সোহেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী
  • আপডেট সময় ০৯:০৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৫১০ বার পড়া হয়েছে

শীতার্তকে নিজহাতে কম্বল পরিয়ে দিচ্ছেন সোহেল আহসান।

নোয়াখালীতে গভীর রাতে ভাসমান অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন সৌদি সরকারের দেওয়া প্রথম গোল্ডেন ইকামাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী (সিআইপি) সোহেল আহসান।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) গভীর রাতে জেলা শহরের মাইজদী ও সোনাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভাসমানদের মাঝে তিনি এ কম্বল বিতরণ করেন।

ভিক্ষুক মো. হানিফ বলেন, দিনে ভিক্ষা করি। রাতে স্টেশনে ঘুমাই। গত কয়েকদিন শীতে অনেক কষ্টে ছিলাম। মনে হয় শীত হাড্ডিতে ঢুকে যায়। এরআগে কেউ আমাদের খোঁজ নেয়নি।

কম্বল পেয়ে খুশি হওয়া মো. হোসেন মিয়া আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, এমন মানুষকে এই প্রথম চোখে দেখেছি, যে আমাদের কম্বল দিয়ে জড়িয়ে দিলেন। খুশিতে চোখে পানি চলে এসেছে। আমি উনার জন্য আজীবন দোয়া করবো।

সিআইপি সোহেল আহসান বলেন, বিত্তবান মানুষ গরম কাপড় কিনে শীত নিবারণ করলেও গরিব-ছিন্নমূল মানুষরা টাকার অভাবেশীতের গরম কাপড় কিনতে পারছেন না। তাই অসহায় মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। তাই আজ নিজস্ব তহবিল থেকে ১০০ জন ভাসমান অসহায় মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে দিনমজুর শ্রেণির মানুষ কাজেও যেতে পারছে না। রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষ শীতে কষ্ট করেন। এরাই প্রকৃত অসহায়-শীতার্ত। তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্য রাতে বের হওয়া।

এরআগে সৌদি সরকারের দেওয়া প্রথম গোল্ডেন ইকামাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী (সিআইপি) মনোনীত হন সোহেল আহসানসহ নোয়াখালীর দুই ব্যবসায়ী।

গত ২ অক্টোবর (শনিবার) সন্ধ্যায় মাইজদীর মেহরান ডাইন রেস্টুরেন্টে তাদেরকে সংবর্ধনা দিয়েছে নোয়াখালী পৌরসভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. শহিদ উল্যাহ খান সোহেল।

নিউজটি শেয়ার করুন

গভীর রাতে কম্বল নিয়ে রেলস্টেশনে সিআইপি সোহেল

আপডেট সময় ০৯:০৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

নোয়াখালীতে গভীর রাতে ভাসমান অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন সৌদি সরকারের দেওয়া প্রথম গোল্ডেন ইকামাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী (সিআইপি) সোহেল আহসান।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) গভীর রাতে জেলা শহরের মাইজদী ও সোনাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভাসমানদের মাঝে তিনি এ কম্বল বিতরণ করেন।

ভিক্ষুক মো. হানিফ বলেন, দিনে ভিক্ষা করি। রাতে স্টেশনে ঘুমাই। গত কয়েকদিন শীতে অনেক কষ্টে ছিলাম। মনে হয় শীত হাড্ডিতে ঢুকে যায়। এরআগে কেউ আমাদের খোঁজ নেয়নি।

কম্বল পেয়ে খুশি হওয়া মো. হোসেন মিয়া আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, এমন মানুষকে এই প্রথম চোখে দেখেছি, যে আমাদের কম্বল দিয়ে জড়িয়ে দিলেন। খুশিতে চোখে পানি চলে এসেছে। আমি উনার জন্য আজীবন দোয়া করবো।

সিআইপি সোহেল আহসান বলেন, বিত্তবান মানুষ গরম কাপড় কিনে শীত নিবারণ করলেও গরিব-ছিন্নমূল মানুষরা টাকার অভাবেশীতের গরম কাপড় কিনতে পারছেন না। তাই অসহায় মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। তাই আজ নিজস্ব তহবিল থেকে ১০০ জন ভাসমান অসহায় মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে দিনমজুর শ্রেণির মানুষ কাজেও যেতে পারছে না। রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষ শীতে কষ্ট করেন। এরাই প্রকৃত অসহায়-শীতার্ত। তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্য রাতে বের হওয়া।

এরআগে সৌদি সরকারের দেওয়া প্রথম গোল্ডেন ইকামাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী (সিআইপি) মনোনীত হন সোহেল আহসানসহ নোয়াখালীর দুই ব্যবসায়ী।

গত ২ অক্টোবর (শনিবার) সন্ধ্যায় মাইজদীর মেহরান ডাইন রেস্টুরেন্টে তাদেরকে সংবর্ধনা দিয়েছে নোয়াখালী পৌরসভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. শহিদ উল্যাহ খান সোহেল।