নোয়াখালী ০৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানাডায় হাসপাতালে চাপ বাড়ছে করোনা রোগীর

প্রবাস ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে

কানাডায় নতুন করে করোনার সংক্রমণ ওমিক্রনে আক্রান্ত বেড়েছে। প্রধান চারটি প্রদেশ ব্রিটিশ কলম্বিয়া, অন্টারিও, কুইবেক ও আলবার্টায় প্রতিদিনই রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রদেশের প্রধানরা সতর্কতা জারিসহ নানান পদক্ষেপ নিয়েছে।

ক্যালগেরির কোভিড পরীক্ষাকেন্দ্রে সরেজমিনে বিশাল লাইন দেখা গেছে। সারা কানাডার চিত্র প্রায় একই রকম। হাসপাতালগুলোতে আগের তুলনায় রোগীর চাপ বাড়ছে। আইসিইউ পরিপূর্ণ। অনেকের সার্জারি সিডিউল পিছিয়ে নেওয়া হচ্ছে। জরুরি রোগী ছাড়া হাসপাতালগুলো পরামর্শ দিচ্ছে বাড়িতে সেবা নিতে।

এরই মধ্যে কানাডায় ছোট-বড় অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্ধ হয়ে গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কর্মস্থলে আশা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে মালিকেরা তাদের ব্যবসা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। একইভাবে দেশের জরুরি পরিষেবাগুলোতেও কর্মী সংকট দেখা দেওয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা কঠিন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে কানাডা মৃদু বা মাঝারিসহ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের জন্য প্যাক্সলোভিড অনুমোদন করেছে যারা বেশি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে, হেলথ কানাডা কিশোর-কিশোরীদের বা কোভিড-১৯ এর কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ওপর ব্যবহারের জন্য এটি অনুমোদন করেনি।

হেলথ কানাডার প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ডা. সুপ্রিয়া শর্মা বলেছেন, অনুমোদনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আসে কারণ আমরা নতুন রূপের মুখোমুখি হয়েছি। ওষুধটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা হ্রাস করে স্বাস্থ্য-খাতে ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

তিনি বলেন, ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলো প্রমাণ দিয়েছে, প্যাক্সলোভিডের সঙ্গে চিকিৎসা লক্ষণগুলো শুরু হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ওষুধগুলো শুরু করা হলে কোভিড-১৯ দ্বারা সৃষ্ট হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ কমিয়ে দেয় এবং পাঁচ দিনের মধ্যে শুরু হলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দেয় ৮৫ শতাংশ।

কানাডার প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম বলেছেন, প্যাক্সলোভিডের প্রভাব এখনই দেখা যাবে না। প্যাক্সলোভিডের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে যারা মাঝারি থেকে গুরুতরভাবে ইমিউনো কমপ্রোমাইজড।

ভ্যাকসিন দিয়ে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যথেষ্ট সুরক্ষা মাউন্ট করেন না যেমন; ৮০ বছরের বেশি বয়সী যাদের ভ্যাকসিন আপ টু ডেট নয় এবং ৬০ বছর বা তার বেশি বয়স্ক যারা গ্রামীণ বা সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ে বসবাস করছেন, যার মধ্যে ফার্স্ট নেশন, ইনুইট এবং মেটিস ব্যক্তিরা যাদের টিকা আপ টু ডেট নয়।

এরই মধ্যে কানাডার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এবং জরুরি পরিষেবার অনেক কর্মী অসুস্থ থাকায় হাসপাতালসহ জরুরি বিভাগকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কানাডায় হাসপাতালে চাপ বাড়ছে করোনা রোগীর

আপডেট সময় ১২:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

কানাডায় নতুন করে করোনার সংক্রমণ ওমিক্রনে আক্রান্ত বেড়েছে। প্রধান চারটি প্রদেশ ব্রিটিশ কলম্বিয়া, অন্টারিও, কুইবেক ও আলবার্টায় প্রতিদিনই রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রদেশের প্রধানরা সতর্কতা জারিসহ নানান পদক্ষেপ নিয়েছে।

ক্যালগেরির কোভিড পরীক্ষাকেন্দ্রে সরেজমিনে বিশাল লাইন দেখা গেছে। সারা কানাডার চিত্র প্রায় একই রকম। হাসপাতালগুলোতে আগের তুলনায় রোগীর চাপ বাড়ছে। আইসিইউ পরিপূর্ণ। অনেকের সার্জারি সিডিউল পিছিয়ে নেওয়া হচ্ছে। জরুরি রোগী ছাড়া হাসপাতালগুলো পরামর্শ দিচ্ছে বাড়িতে সেবা নিতে।

এরই মধ্যে কানাডায় ছোট-বড় অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্ধ হয়ে গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কর্মস্থলে আশা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে মালিকেরা তাদের ব্যবসা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। একইভাবে দেশের জরুরি পরিষেবাগুলোতেও কর্মী সংকট দেখা দেওয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা কঠিন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে কানাডা মৃদু বা মাঝারিসহ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের জন্য প্যাক্সলোভিড অনুমোদন করেছে যারা বেশি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে, হেলথ কানাডা কিশোর-কিশোরীদের বা কোভিড-১৯ এর কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ওপর ব্যবহারের জন্য এটি অনুমোদন করেনি।

হেলথ কানাডার প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ডা. সুপ্রিয়া শর্মা বলেছেন, অনুমোদনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আসে কারণ আমরা নতুন রূপের মুখোমুখি হয়েছি। ওষুধটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা হ্রাস করে স্বাস্থ্য-খাতে ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

তিনি বলেন, ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলো প্রমাণ দিয়েছে, প্যাক্সলোভিডের সঙ্গে চিকিৎসা লক্ষণগুলো শুরু হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ওষুধগুলো শুরু করা হলে কোভিড-১৯ দ্বারা সৃষ্ট হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ কমিয়ে দেয় এবং পাঁচ দিনের মধ্যে শুরু হলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দেয় ৮৫ শতাংশ।

কানাডার প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম বলেছেন, প্যাক্সলোভিডের প্রভাব এখনই দেখা যাবে না। প্যাক্সলোভিডের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে যারা মাঝারি থেকে গুরুতরভাবে ইমিউনো কমপ্রোমাইজড।

ভ্যাকসিন দিয়ে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যথেষ্ট সুরক্ষা মাউন্ট করেন না যেমন; ৮০ বছরের বেশি বয়সী যাদের ভ্যাকসিন আপ টু ডেট নয় এবং ৬০ বছর বা তার বেশি বয়স্ক যারা গ্রামীণ বা সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ে বসবাস করছেন, যার মধ্যে ফার্স্ট নেশন, ইনুইট এবং মেটিস ব্যক্তিরা যাদের টিকা আপ টু ডেট নয়।

এরই মধ্যে কানাডার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এবং জরুরি পরিষেবার অনেক কর্মী অসুস্থ থাকায় হাসপাতালসহ জরুরি বিভাগকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।