নোয়াখালী ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি একরামুলের মনোনয়ন কিনতে ঢাকায় হেফাজত নেতা, এলাকায় প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৮:৩২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নৌকার মনোনয়ন কিনতে ঢাকায় গেলেন স্থানীয় এক হেফাজত নেতা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নোয়াখালী হেফাজতের শীর্ষ নেতা ইয়াছিন আরাফাতকে সঙ্গে নিয়ে ওই মনোনয়ন কিনেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান।

এরআগে নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেফাজত নেতা ইয়াছিন আরাফাত সমাবেশ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে আলোচনায় আসেন।

নোয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস জাহের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় দলের বিরুদ্ধের লোকজন নিয়ে শোডাউন করা খুবই দুঃখজনক। দলের বিরুদ্ধের লোক হলেও নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের এসব লোকদের সঙ্গে রাখছেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

আবদুস জাহের আরও বলেন, বিতর্কিত ইয়াছিন আরাফাত ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। পরে ২০২১ সালে হেফাজতের সমাবেশে জেলা শহরে প্রকাশ্যে আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। যার ভিডিও এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রয়েছে।

এদিকে এমন কর্মকাণ্ডকে অসাংগঠনিক দাবি করে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান নাছের। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে ব্যক্তি আমাদের নেতাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন প্রকাশ্যে দলের বিরোধীতা করেন তাকে নিয়ে দলের মনোনয়ন সংগ্রহ সত্যিই দুঃখজনক।

এছাড়া বিএসএল শামিম, নাজিম উদ্দিন, শাহাদাত খান’সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাদের অনেকের দাবি, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধাচারণ করা সেই হেফাজত নেতা ইয়াছিন আরাফাতকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ক্রয় অগ্রহণযোগ্য। আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিকরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নৌকার মনোনয়ন কিনতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত। তিনি দাবি করে বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি, আমার এলাকার এমপি হিসেবে একরামুল করিম চৌধুরীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য গিয়েছি। এতে দোষের কিছু দেখছি না।

এ ব্যাপরে একরামুল করিম চৌধুরী এমপি এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

 

ফাহাদ/আইএইচএম/জেএফ.

নিউজটি শেয়ার করুন

এমপি একরামুলের মনোনয়ন কিনতে ঢাকায় হেফাজত নেতা, এলাকায় প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় ০৮:৩২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নৌকার মনোনয়ন কিনতে ঢাকায় গেলেন স্থানীয় এক হেফাজত নেতা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নোয়াখালী হেফাজতের শীর্ষ নেতা ইয়াছিন আরাফাতকে সঙ্গে নিয়ে ওই মনোনয়ন কিনেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান।

এরআগে নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেফাজত নেতা ইয়াছিন আরাফাত সমাবেশ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে আলোচনায় আসেন।

নোয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস জাহের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় দলের বিরুদ্ধের লোকজন নিয়ে শোডাউন করা খুবই দুঃখজনক। দলের বিরুদ্ধের লোক হলেও নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের এসব লোকদের সঙ্গে রাখছেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

আবদুস জাহের আরও বলেন, বিতর্কিত ইয়াছিন আরাফাত ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। পরে ২০২১ সালে হেফাজতের সমাবেশে জেলা শহরে প্রকাশ্যে আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। যার ভিডিও এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রয়েছে।

এদিকে এমন কর্মকাণ্ডকে অসাংগঠনিক দাবি করে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান নাছের। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে ব্যক্তি আমাদের নেতাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন প্রকাশ্যে দলের বিরোধীতা করেন তাকে নিয়ে দলের মনোনয়ন সংগ্রহ সত্যিই দুঃখজনক।

এছাড়া বিএসএল শামিম, নাজিম উদ্দিন, শাহাদাত খান’সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাদের অনেকের দাবি, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধাচারণ করা সেই হেফাজত নেতা ইয়াছিন আরাফাতকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ক্রয় অগ্রহণযোগ্য। আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিকরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নৌকার মনোনয়ন কিনতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত। তিনি দাবি করে বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি, আমার এলাকার এমপি হিসেবে একরামুল করিম চৌধুরীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য গিয়েছি। এতে দোষের কিছু দেখছি না।

এ ব্যাপরে একরামুল করিম চৌধুরী এমপি এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

 

ফাহাদ/আইএইচএম/জেএফ.