নোয়াখালী ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী

দুই সাংবাদিককে হেনস্তা, বিএডিসির কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৬:১১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১২৭৫ বার পড়া হয়েছে

সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত মিরাজ হোসেন শান্ত (টিশার্ট পরিহিত)।

নোয়াখালীতে দুই সাংবাদিককে হেনস্তা করায় অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) জেলা কার্যালয়ের ভান্ডাররক্ষক (স্টোর-কিপার) মিরাজ হোসেন শান্ত বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রোববার (২০ অক্টোবর) নোয়াখালী প্রেসক্লাবের কার্য্য নির্বাহী সদস্য মো. মাহবুবুর রহমানের (৫৩) দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।

মামলার একমাত্র আসামি মিরাজ হোসেন শান্ত লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার হাজির হাটি ইউনিয়নের চরজাঙ্গালীয়া গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বীজ বিপনন) নোয়াখালী কার্যালয়ের ভান্ডাররক্ষক (স্টোর-কিপার) হিসেবে কর্মরত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বিএডিসির নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের একটি তথ্য চেয়ে আবেদন করতে উপপরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলমের কাছে যান দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন।

এ সময় কথা বলার সময় প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন শান্ত হঠাৎ ভিডিও করা শুরু করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা চাঁদা নিতে এসেছেন, এমন দাবি করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। ভিডিও করতে নিষেধ করায় কর্মচারী মিরাজ হোসেন সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানকে কিলঘুষি দিতে শুরু করেন। পরে সঙ্গে থাকা সাংবাদিক সুজন এতে বাধা দিলে তাকেও হেনস্তা করেন মিরাজ।

ঘটনার সময় মোবাইলে ভিডিও করছেন মিরাজ হোসেন শান্ত।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কমলনগরের যুবলীগ ক্যাডার মিরাজ হোসেন অনিয়ম দুর্নীতিরি পাশাপাশি সরকারি অফিসকে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় মামলাও হয়েছে। তথ্য চাওয়ার পর উল্টো আমার ওপর তিনি চড়াও হন। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি তার গ্রেফতার চাই।’

অভিযুক্ত মিরাজ হোসেন শান্ত বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিএডিসি অফিসে এসে বিভিন্ন তথ্য চাওয়ার নামে চাঁদাদাবি করেন। এসময় আমি ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আমাকে বিভিন্ন হুমকিও দেন। আমি সাংবাদিক সম্মেলনসহ তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

জানতে চাইলে উপ-পরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় বিএডিসির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গুদাম রক্ষক (স্টোর-কিপার) মিরাজ হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে তাকে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নোয়াখালী

দুই সাংবাদিককে হেনস্তা, বিএডিসির কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ০৬:১১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

নোয়াখালীতে দুই সাংবাদিককে হেনস্তা করায় অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) জেলা কার্যালয়ের ভান্ডাররক্ষক (স্টোর-কিপার) মিরাজ হোসেন শান্ত বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রোববার (২০ অক্টোবর) নোয়াখালী প্রেসক্লাবের কার্য্য নির্বাহী সদস্য মো. মাহবুবুর রহমানের (৫৩) দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।

মামলার একমাত্র আসামি মিরাজ হোসেন শান্ত লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার হাজির হাটি ইউনিয়নের চরজাঙ্গালীয়া গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বীজ বিপনন) নোয়াখালী কার্যালয়ের ভান্ডাররক্ষক (স্টোর-কিপার) হিসেবে কর্মরত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বিএডিসির নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের একটি তথ্য চেয়ে আবেদন করতে উপপরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলমের কাছে যান দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন।

এ সময় কথা বলার সময় প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন শান্ত হঠাৎ ভিডিও করা শুরু করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা চাঁদা নিতে এসেছেন, এমন দাবি করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। ভিডিও করতে নিষেধ করায় কর্মচারী মিরাজ হোসেন সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানকে কিলঘুষি দিতে শুরু করেন। পরে সঙ্গে থাকা সাংবাদিক সুজন এতে বাধা দিলে তাকেও হেনস্তা করেন মিরাজ।

ঘটনার সময় মোবাইলে ভিডিও করছেন মিরাজ হোসেন শান্ত।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কমলনগরের যুবলীগ ক্যাডার মিরাজ হোসেন অনিয়ম দুর্নীতিরি পাশাপাশি সরকারি অফিসকে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় মামলাও হয়েছে। তথ্য চাওয়ার পর উল্টো আমার ওপর তিনি চড়াও হন। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি তার গ্রেফতার চাই।’

অভিযুক্ত মিরাজ হোসেন শান্ত বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিএডিসি অফিসে এসে বিভিন্ন তথ্য চাওয়ার নামে চাঁদাদাবি করেন। এসময় আমি ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আমাকে বিভিন্ন হুমকিও দেন। আমি সাংবাদিক সম্মেলনসহ তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

জানতে চাইলে উপ-পরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় বিএডিসির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গুদাম রক্ষক (স্টোর-কিপার) মিরাজ হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে তাকে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।