‘তিন বছর স্ত্রীর মতো ভোগ করে এক বছর আগে ১০ লাখ টাকা কাবিনে গোপনে বিয়েও করেন, এরপর কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীর মর্যাদা দিতেও অস্বীকার করছেন’
অতপরঃ স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে কবিরহাটের প্রতারক প্রেমিক কামাল উদ্দিন রুবেলের বাড়িতে এক ভুক্তভোগী নারীর অনশন সমগ্র এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি থানা-পুলিশ পর্যন্তও গড়িয়েছে।
অভিযুক্ত কামাল উদ্দিন রুবেল নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব ফতেহপুর গ্রামের মোঃ নাছির উদ্দিনের ছেলে এবং কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগকারী ওই নারী জানান, বিয়ের ৯ বছর পর তার স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে মা বাবা না থাকায় শ্বশুর বাড়িতে ঠাঁই হয়নি তার। পরে বোনের বাড়ীতে আশ্রয় নেন তিনি। বোনের বাড়ীতে থাকার সময় তিন বছর আগে পরিচয় হয় ওই বাড়ির বাসিন্দা ও কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন রুবেলের সাথে।
এরপর গত তিন বছর যাবত বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্নস্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে তার সাথে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করে আসছে রুবেল। গত জানুয়ারী মাসে ১০ লাখ টাকা কাবিনে ওই নারীকে গোপনে বিয়েও করেন রুবেল।
এরপর থেকে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় রুবেল। শারীরিক সম্পকের্র এক পর্যায়ে তার পেটে বাচ্চা চলে আসলে সেটিকে গর্ভপাত করানোরও অভিযোগ রয়েছে রুবেলের বিরুদ্ধে। এখন চাহিদা মতো টাকা না পেয়ে বিয়ে ও শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন ছাত্রদলের নেতা কামাল উদ্দিন রুবেল।
এদিকে ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, সে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে রুবেলের বাড়িতে গেলে রুবেলের স্বজনরা তার সাথে চরম দূর্ব্যবহার করেছেন। এখন রুবেল তার রাজনৈতিক সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছেন।
অভিযুক্ত রুবেল জানান, তাকে জোরপূর্বক ওই নারীর সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে ওই বিয়ে এবং কাবিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। তার সাথে ওই নারীর কোন সম্পর্ক ছিল না বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে খবর পেয়ে কবিরহাট থানা পুলিশ ওই নারীকে পূর্ব ফতেহপুর গ্রামে রুবেলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশের এসআই বিল্লাল জানান, বৈঠক করে পারিবারিকভাবে মিমাংসা না হলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।