জানা গেছে, আবদুল্যাহ সোহানের পিতা নুরনবী সবুজ বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের বিএনপির দলীয় সাবেক কাউন্সিলর। সেই সুবাধে আবদুল্যাহ সোহান স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু সম্প্রতি তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি হামলা এবং থানায় মামলা দায়েরের পরও পুলিশ তাকে আটক না করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এই সোহান বাহিনীর সোহানের খুঁটির জোর কোথায়?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ত্রাসী সোহানের নেতৃত্বে তার বাহিনী বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের এক বিধবা নারীর উপর হামলা চালিয়ে ওই নারীসহ পরিবারে নারী সদস্যদের মারধর ও লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ এ বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এরআগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সোহান বাহিনীর সোহান তার দলবল নিয়ে বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডে শিল্পপতি ফখরুল ইসলামের বসতঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সন্ত্রাসীরা জামিনে এসে আবারো একই কায়দায় অরাজকতা সৃষ্টি করে এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোর গ্যাং লিডার আবদুল্যাহ সোহান সাবেক কমিশনার পিতা নুরনবী সবুজকে পূঁজি করে পরিবার ও দলীয় লোকজন দিয়ে বাহিনী গড়ে তুলেছে। এরা দিনে বিএনপি করলেও রাতের অন্ধকারে সরকার দলের সাথে আতাঁত করায় ভয়ে এ বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুর রহমান জানান, দুটি ঘটনাতেই এই আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে পুলিশ তৎপরতা অব্যহত আছে।